ব্যাংকার ও গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে এসব পণ্য আমদানিতে নগদ মার্জিনের হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখতে হবে।
Published : 06 Nov 2024, 11:38 PM
রোজায় যেসব পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে সেগুলোর আমদানি সহজ করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংক ও আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির নির্দেশ, ব্যাংকার ও গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে এসব পণ্য আমদানিতে নগদ মার্জিনের হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখতে হবে।
বুধবার এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারির মাধ্যমে সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিকট পাঠানো হয়।
সার্কুলারে রমজানে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এসব পণ্য আমদানি সহজ করার মাধ্যমে মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার কথা বলা হয়েছে।
যেসব পণ্য আমদানিতে এই সুবিধা মিলবে, সেগুলো হল চাল, গম, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, ডিম, ছোলা, মটর, মসলা এবং খেজুর।
অভ্যন্তরীণ বাজারে এসব পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিতকল্পে আমদানি ঋণপত্র স্থাপনে অগ্রাধিকার দেওয়ার পরামর্শও দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলেও সার্কুলারে বলা হয়।
আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি রমজান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনার কথা বলা হচ্ছে। এই মাসে ছোলা, চিনি, ভোজ্যতেল, খেজুর, মটরসহ বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। প্রতি বছরই এসব পণ্য আগেভাগে আমদানি করে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা হয়।
গত বছর রোজায় চাল, ডিমের মত পণ্যগুলো আমদানি হয়নি। এবার দেশে দাম বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এসব পণ্য আমদানিতে উৎসাহ দিতে শুল্ক অনেকটাই কমিয়ে এনেছে। তবে বাজারে এর প্রভাব সীমিত।