আইএমএফ টাকা না দিলে রসাতলে যাব না: বাণিজ্যমন্ত্রী

“আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে, আশা করি বাংলাদেশের কোনো সমস্যা হবে না,” দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা প্রসঙ্গে বলেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Nov 2022, 06:23 PM
Updated : 5 Nov 2022, 06:23 PM

দেশের রিজার্ভকে নিরাপদ করতে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করেই সরকার আইএমএফের ঋণ নেবে বলে দাবি করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

তিনি বলেছেন, “আইএমএফ টাকা না দিলে আমরা রসাতলে যাব, তা নয়। যদি প্রয়োজন পড়ে সেজন্য একটা সিকিউরিটি নিয়ে রাখা হচ্ছে। আমাদের নিরাপদ রিজার্ভ গড়ে তোলার জন্য এ ঋণ দরকার। আশা করি, বিশ্ব ব্যাংক আমাদের সহায়তা করবে।”

শনিবার রংপুর জেলা স্কুল মাঠে জেলা যুবলীগের সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

দেশে রপ্তানির তুলনায় আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় সম্প্রতি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে তুলনামূলক কম প্রয়োজনীয়- এমন পণ্য আমদানির ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে সরকার। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজার থেকে উচ্চ মূল্যের গ্যাস কেনাও বন্ধ রাখা হয়েছে।

পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার ঋণ পেতে আবেদন করে রেখেছে বাংলাদেশ। আইএমএফও ঋণ দিতে সম্মত হয়ে ঋণ পূর্ববর্তী শর্তগুলো নিয়ে এখন আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

রংপুর জেলা যুবলীগের সম্মেলনে আইএমএফের ঋণ নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের স্বার্থ রক্ষা করে আইএমএফের ঋণ গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে আইএমএফের প্রয়োজনীয় শর্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

দেশে ও আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যের মূল্য বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা প্রসঙ্গে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সামনে দুর্ভিক্ষ হতে পারে; আমরা যেন এক ইঞ্চি আবাদযোগ্য জমিও ফেলে না রাখি। আমরা দেশে সর্বোচ্চ ফসল ফলনোর চেষ্টা করব। তিনি আমাদের সতর্ক করেছেন।

“আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে, আশা করি বাংলাদেশের কোনো সমস্যা হবে না।”

দেশে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক বাজারের পাশাপাশি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অসাধু কর্মকাণ্ডকেও দায়ী করে তিনি বলেন, “বিশ্ব বাজারে একটু দাম বেড়ে গেলে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট তৈরি করে বাজারকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা করছে। সেজন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারের অন্য দপ্তরগুলো সজাগ রয়েছে এবং কাজ করে যাচ্ছে।”