নেপালকে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ সরকারের উদার প্রস্তাবের জন্য রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
Published : 17 Sep 2024, 11:59 PM
নেপালের জলবিদ্যুৎ সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে শিগগির জ্বালানি বাণিজ্য শুরুর কথা উঠে এসেছে উচ্চপর্যায়ের এক রাষ্ট্রীয় বৈঠকে।
নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সেখানে এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তুলে ধরা হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত ভান্ডারি জুলাই-অগাস্টে ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণ করায় প্রধান উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দুটি দেশই সার্ক ও বিমসটেকের সদস্য এবং উভয় দেশের মধ্যে অভিন্ন ইতিহাস ও জনগণের মধ্যে গভীর মিথষ্ক্রিয়ার ভিত্তিতে 'চমৎকার' দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক রয়েছে। তবে দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক এখনও সীমিত পর্যায়ে রয়েছে।
রাষ্ট্রদূত ভান্ডারি নেপালের বিশাল জলবিদ্যুৎ সম্ভাবনা সর্ম্পকে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। দুই দেশ শিগগির জ্বালানি বাণিজ্য শুরু করতে সক্ষম হবে বলেও তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন।
নেপালকে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ সরকারের উদার প্রস্তাবের জন্য রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বাংলাদেশে নেপালের শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে চিকিৎসা শিক্ষায় সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, নেপালের অনেক ডাক্তার বাংলাদেশে তাদের শিক্ষা সম্পন্ন করেছেন।
রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় প্রধান উপদেষ্টা দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা- সার্ক সর্ম্পকে খোঁজখবর নেন।
২০১৪ সালের পর সার্কের কোনো শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি বলেও বৈঠকে উঠে আসে। সংস্থাটির সদর দপ্তর নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অবস্থিত।
রাষ্ট্রদূত সার্ক ও বিমসটেকের মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার এবং বহুপাক্ষিক ফোরামে আরও ঘনিষ্ঠভাবে দুই দেশের কাজ করার গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন।