আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সহজ করতে ডিজিটাইজেশন জরুরি: ওয়াসিকা

“এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের প্রেক্ষাপটে দেশের চলমান উন্নয়ন ধরে রাখতে কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই,” বলেন তিনি।

আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে ডিজিটাইজেশনের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন অর্থপ্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান।

তিনি বলেছেন, “প্রথাগত বাণিজ্যের সাথে অনেক কাগজের ডকুমেন্টস এবং প্রক্রিয়া জড়িত। ট্রেড ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে ডকুমেন্টস দ্রুত প্রেরণ, যাচাই করা এবং যেকোনো স্থান থেকে ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব হবে; যা ব্যবসায়ের খরচ ও সময় কমাবে। এর ফলে লেনদেন দ্রুত এবং নিরাপদ হবে৷”

সোমবার ঢাকার একটি হোটেলে 'ডিজিটালাইজেশন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অব বাংলাদেশ' শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী তিনি এ কথা বলেন।

ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, “আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ডিজিটালাইজেশনের জন্য সরকারে পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে। আইসিসি বাংলাদেশের আজকের ওয়ার্কশপ ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ডিজিটালাইজেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ২০২৬ সালের নভেম্বরে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে আসবে, যার ফলে অর্থনীতির সকল ক্ষেত্রে দেশের উন্নয়ন হবে। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের প্রেক্ষাপটে, দেশের চলমান উন্নয়ন ধরে রাখতে কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।

“এ ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাট শাখাকে স্বয়ংক্রিয় ও ডিজিটালাইজড করে করদাতা, ব্যবসায়ী ও নাগরিকদের নির্বিঘ্নে সেবা প্রদানের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।”

ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (আইসিসি) বাংলাদেশ আয়োজিত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আইসিসি বাংলদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং, ইউএনস্কাপের পরিচালক রুপা চন্দ ও আইটিএফসি’র রিজিওনাল হেড ইফতেখার আলম, আইসিসি বাংলাদেশের ব্যাংকিং কমিশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ এ রুমী আলী, স্টান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের চিফ এক্সিকউটিভ অফিসার নাছের এজাজ বিজয়।

কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিসি ডিজিটাল স্টান্ডার্ড ইনিশিয়েটিভয়ের পামেলা মার ও তিয়ানমি স্টিলফেন।