এর আগে প্রস্তাবিত বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালো টাকা বৈধ বা সাদা করা নিয়ে কোনো ঘোষণা না থাকায় বৃহস্পতিবার বাজেটের দিনই টিআইবি সরকারের ‘বোধোদয়’ হয়েছে উল্লেখ করে সতর্ক সাধুবাদ জানিয়েছিল।
শনিবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “আমরা বিশ্বাস করতে চাই যে, বাজেট অর্থমন্ত্রী ও অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের দিক নির্দেশনায় তৈরি একটি সমন্বিত চিন্তার আর্থিক দলিল।
কিন্তু সেটি সংসদে উপস্থাপনের পরদিনই তারই একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে অর্থমন্ত্রীর সংশয় এবং বাস্তবে ইউটার্ন সত্যিই অবাক করার মত।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে রেকর্ড ১৪ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ বৈধ করার ঘটনাকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানোর একটি প্রচেষ্টা শুরু থেকেই ছিল। শঙ্কা হচ্ছে তিনি অন্যায় এই সুবিধার পক্ষে সেই ঢালটি এখন ব্যবহার করতে চাইছেন।”
অথচ এর মাধ্যমে সত্যিকারভাবে সরকার কতোটা রাজস্ব ক্ষতির স্বীকার হলো সেটি কোনোভাবেই বিবেচনায় আনা হচ্ছে না বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার’ অবস্থান দুর্নীতিবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে ভূমিকা রাখছে জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, “আয়কর অধ্যাদেশের আইনি মারপ্যাঁচে থাকা অপ্রদর্শিত আয়ের মোড়কে কালো টাকা সাদা করার অন্যান্য সুযোগও বাতিল করার এখনই সময়।“
আরও পড়ুন-