এই খাতের উচ্চ আয়কারী ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের আগামী ২০২১-২২ অর্থবছর থেকে ১৫ শতাংশ হারে কর আরোপের কথা বলা হয়েছে বাজেটের আয়কর বিষয়ক প্রস্তাবে।
বর্তমানে ৩০ লাখ টাকার বেশি হলে ১০ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হয়।
বৃহস্পতিবার বাজেট প্রস্তাবে অর্থমন্ত্রী এই খাতের আয় করে নতুন একটি স্তর যুক্ত করার পাশাপাশি করহার যৌক্তিক করার ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, “আমরা মাছেভাতে বাঙালী। আর তাই মৎস্য চাষকে উৎসাহিত করার জন্য দীর্ঘদিন থেকে মৎস্য আয়ের উপর হ্রাসকৃত হারে কর প্রদানের সুযোগ রাখা হয়েছে।
“এ সুযোগ অব্যাহত রেখে শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট আয়সীমার পর করারোপনের একটি ধাপবৃদ্ধি এবং করহারের যৌক্তিকীকরণের প্রস্তাব করছি।“
চলতি বছর জানুয়ারিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এনবিআরকে লেখা এক চিঠিতে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক বেশ কয়েকজন করদাতার রিটার্নে প্রদর্শিত মৎস্য ও পোলট্রি খাতের আয়ের উৎস খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করেছিল।
বিদ্যমান আয়কর বিধান অনুযায়ী, ব্যক্তি আয়করের সর্বোচ্চ হার ২৫ শতাংশ। সেজন্য মৎস্য খাত থেকে আয় দেখিয়ে অনেকে সেই সুবিধা নিতে চান বলে মনে করছেন এনবিআর কর্মকর্তারা।
এনবিআরের ওয়েবসাইটে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট ডকুমেন্ট অংশ ‘বাজেটের আয়কর বিষয়ক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন বিষয়ক’ পৃষ্ঠায় মৎস্য আয়ের করহার যৌক্তিকীকরণের এই বিষয়টি প্রকাশ করা হয়েছে।
২০ লাখ টাকা পরবর্তী অবশিষ্ট আয়ের উপর ১০ এর পরিবর্তে ৩০ লাখ টাকা পরবর্তী অবশিষ্ট আয়ের উপর ১৫ শতাংশ করহারের প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রস্তাব অনুযায়ী, এখনকার মত আগামী অর্থবছরে প্রথম ১০ লাখ টাকা করমুক্ত, পরের ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ৫ শতাংশ এবং এরপরের ১০ লাখে আগের মত ১০ শতাংশ কর ধার্য্যের করার কথা বলা হয়েছে।
আর পরবর্তী ১০ লাখ অর্থ্যাৎ ৩০ লাখের পরের আয়ে ১৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।
বিদ্যমান আয়কর বিধান অনুযায়ী, মৎস্য, চিংড়ি ও পোলট্রি হ্যাচারি থেকে আয়ের প্রথম ১০ লাখ টাকায় কোনো আয়কর নেই। এরপরের ১০ লাখ আয়ের ওপর কর দিতে হয় ৫ শতাংশ হারে।
পরবর্তী ২০ লাখের আয়ে দিতে হয় ১০ শতাংশ কর।
২০১৩-১৪ অর্থবছরে সরকার দেশ মাছ উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে পুষ্টি নিশ্চিত করার পাশাপাশি গ্রামীণ কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কর ছাড়ের এমন সুবিধা দেয়।
প্রথম দুই বছরের জন্য দেওয়া হলেও পরে তা বাড়ানো হয়।