নতুন বাজেটে আমদানি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব আসায় বাড়তে যাচ্ছে স্মার্টফোনের দাম; তবে ফিচার ফোনের দামে হেরফের হচ্ছে না।
Published : 13 Jun 2019, 04:59 PM
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য যে বাজেট প্রস্তাব করেছেন, তাতে স্মার্টফোন আমদানির উপর শুল্কহার ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার কথা বলা হয়েছে।
বর্তমানে স্মার্টফোন ও ফিচার ফোনে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “স্মার্টফোন দেশের বিত্তবান লোকজন ব্যবহার করে বিধায় এর আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি করে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।”
অন্যদিকে ফিচার ফোন ‘নিম্ন আয়ের মানুষ ব্যবহার করে বিধায়’ তার আমদানি শুল্ক হার আগের মতোই ১০ শতাংশ রাখার প্রস্তাব করেছেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী মোবাইল ফোনের চার্জার কানেকটর পিন ও সিম স্লট ইজেকটর পিনের উপর শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করেছেন।
অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবে দেশে স্মার্টফোন সংযোজনকারীরা লাভবান হলেও আমদানি করা ফোনের দামে বেড়ে যাবে বলে বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
বর্তমানে বাংলাদেশে বছরে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার স্মার্টফোন বিক্রি হয়।
স্মার্টফোনের উপর শুল্ক বাড়ানো হলে অবৈধভাবে আসা হ্যান্ডসেট বাজারে বাড়ার সম্ভাবনা থাকলেও একে ইতিবাচক মনে করছেন মোবাইল ফোন আমদানিকারকদের সংগঠন বাংলাদশে মোবাইল ফোন ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমপিআইএ) যুগ্ম সম্পাদক মো. মেজবাহ উদ্দিন।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্মার্টফোনে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি করায় দেশীয়ভাবে উৎপাদনে যাওয়া কোম্পানিগুলো আরও সুযোগ পেল এবং যারা দেশে হ্যান্ডসেট উৎপাদন করছে না, তারাও আগ্রহী হবে দেশে উৎপাদনের জন্য।”
প্রস্তাবিত বাজেটে মোবাইল ফোনের সিমকার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে সেবার বিপরীতে সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে।
ফলে মোবাইল ফোনে কথা বলা, এসএমএস পাঠানো এবং ডেটা ব্যবহারের খরচও বেড়ে যাওয়ার কথা।