ছন্দ ও নাচের অঙ্গভঙ্গিতে সুরে সুরে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে মনসা পুঁথি পাঠ।
Published : 19 Aug 2023, 06:59 PM
পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলার সর্বপ্রাচীন সনাতন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান শ্রী শ্রী রক্ষা কালী মন্দিরে গত ৩ অগাস্ট ছিল মনসা পুঁথি পাঠ আয়োজন।
জেলা শহরের কীর্তনীয়া দোলন চন্দ ও আশীষ দে পরিবেশিত মনসা পুঁথি পাঠে হারমোনিয়াম, করতাল, মৃদঙ্গ, জোরখায়, জুরি, বাঁশিতে ছিলেন স্থানীয় গৌর নিতাই সম্প্রদায়ের যন্ত্রশিল্পীরা।
রাত ৮টায় শুরু হয়ে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে মনসা পুঁথি পাঠ। ভক্তদের জন্য ছিল খাবারের ব্যবস্থাও।
ছন্দ ও নাচের অঙ্গভঙ্গিতে সুরে সুরে পুঁথি পাঠে কীর্তনীয়া দোলন চন্দ বলতে থাকেন, “ফণি যে দংশিয়াছে মম শিরোমণি, ফিরিয়া করহ কৃপা আস্তিক জননী, ফাঁপর হয়েছি মাত শুনো বিষহরি, ফণিরূপা ফিরো তুমি হংসপৃষ্টা চড়ি, বাপে সমর্পিল মোরে লক্ষীন্দর করে।”
আবহমান গ্রাম-বাংলার লোক ঐতিহ্য মনসা পুঁথি পাঠ নিয়ে দোলন চন্দ বলেন, “সনাতন ধর্মে মনসা মঙ্গল কাব্যের প্রধান দেবতা সর্পদেবী মনসা।
”মনসা মূলগতভাবে অনার্য দেবী। ভারতের আদিবাসী ও অন্তঃজ সমাজে সর্পদেবী মনসার পূজা প্রচলিত। ধারণা করা হয় খৃষ্টীয় দশম-একাদশ শতাব্দীতে বাংলায় মনসা পূজা শুরু হয়।”
আসরে হারমোনিয়ামের নেতৃত্বে থাকা আশীষ দে বলেন, ”অতীতে গ্রামের পাড়ায় পাড়ায় পুঁথি পাঠ হতো।
শ্রাবণ মাসের প্রথম দিন হতে পুরো মাস জুড়ে কখনো কারও বাড়িতে, কখনো মন্দিরে পুঁথি পাঠের আসর বসতো।
দেবী মা মনসাকে সন্তুষ্টি ও বর্ষার সময়টাতে সাপ উপদ্রুত এলাকায় দংশন হতে মুক্তি পেতে পুরো শ্রাবণ মাস জুড়ে পুঁথিপাঠ ও মাস শেষে নানান উপাচারে মায়ের পূজা হয় বলে জানান আশীষ দে।
আপনার নিবন্ধিত ইমেইল থেকে অপ্রকাশিত লেখা (ইউনিকোডে)/ছবি/ভিডিও আকারে নাগরিক সংবাদ পাঠান [email protected] ঠিকানায়।
নিবন্ধিত নাগরিক সাংবাদিক হতে আপনার নাম (বাংলা ও ইংরেজিতে), ঠিকানা, ফোন নম্বর, ইমেইল আইডি এবং ছবি [email protected] ঠিকানায় ইমেইল করুন।