সিনেমা শিল্পের ক্রান্তিকাল কাটাতে চাই সমন্বিত উদ্যোগ

মোঃ গালিব মেহেদী খান
Published : 9 April 2018, 01:32 AM
Updated : 9 April 2018, 01:32 AM

একজন দর্শক সিনেমা হলে যান বিনোদিত হতে। তিনি তার গাঁটের পয়সা খরচ করে তার একটি মৌলিক চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে হলে যান। সেখান থেকে যখন তিনি আশাহত হয়ে ফিরে আসেন এবং পরবর্তীতে যদি আর হলমুখী না হন তখন তার দায় কার? প্রশ্নটির উত্তর পেতে হলে আগে আমাদের খুঁজে বের করতে হবে সেই দর্শক কেন আশাহত হয়েছিলেন সেটা। হতে পারে সিনেমার গল্প-গাঁথুনি-মেকিং কিংবা অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অভিনয় তার ভাল লাগেনি। হতে পারে সিনেমাটি নিয়ে তার কোন অভিযোগই নেই, কিন্তু সিনেমা হলের নোংরা পরিবেশ, দুর্গন্ধ, ভাঙা চেয়ার, ছারপোকার অত্যাচারে তিনি অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন। আবার এমনও হতে পারে, মানহীন সিনেমা এবং সিনেমা হলের দুর্দশা দুটিই তাকে আশাহত করেছে।

আমরা যখন একটা সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করব তখন প্রথমে তো সমস্যার কারণ খুঁজবো। একটি সিনেমা যতই আকর্ষণীয় হোক না কেন তা পরিবেশনের স্থানটি যদি আকর্ষণীয় না হয় তাহলে দর্শক হলে গিয়ে সেই সিনেমাটি দেখবে না এটাই স্বাভাবিক। তার যদি একান্তই দেখার ইচ্ছে হয় তখন সে বিকল্প মাধ্যমে সিনেমাটি দেখবে। কাজেই সিনেমা শিল্পকে বাঁচাতে হলে নিতে হবে সমন্বিত উদ্যোগ। দর্শকপ্রিয় সিনেমা তৈরির পাশাপাশি উন্নত করতে হবে হলের পরিবেশ। যদি তা না করে ডিম আগে না মুরগি আগের বিতণ্ডায় লিপ্ত থাকেন তাহলে এর সমাধান ইহকালেও হবে না।

এ তো গেল বাহ্যিক সমস্যার কথা। সিনেমা জগতকে নব যৌবন দিতে হলে এর পেছনেও একই সাথে দৃষ্টিপাত করতে হবে। সে ক্ষেত্রে পরিবর্তনের হাওয়া লাগতে হবে সিনেমা সংশ্লিষ্ট সকল ক্ষেত্রে। আমরা যদি আমাদের সিনেমার সংকটগুলো আগে চিহ্নিত করতে পারি তাহলে সমাধানের পথটাও সহজে বেড়িয়ে আসবে।

শিল্পীদের অপ্রতুল প্রচারণা

রাজ্জাক, শাবানা, আলমগীর, কবরী, ববিতা, মান্না, সালমান শাহ, শাবনুর- এক সময় এই নামগুলো মানেই ছিল ভালো অভিনয় সমৃদ্ধ একটি ভালো সিনেমা। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে নব্বই দশক পর্যন্ত আমাদের দেশে সিনেমাই ছিল বিনোদনের প্রধান মাধ্যম। এই সময়ে অনেক ভাল সিনেমাও তৈরি হয়েছে। আর তাতে যারা অভিনয় করেছেন তারাও দর্শকের মনে স্বমহিমায় স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন। ফলে তাদের সম্পর্কে দর্শকদের আলাদা করে কৌতূহলী করে তুলতে হয়নি। কিন্তু তারা সিনেমার পর্দা থেকে সরে গেলে আগত নতুন 'প্রতিশ্রুতিশীল' অভিনয় শিল্পীদের তো আর দর্শকরা চেনে নি। কাজেই তাদের সম্পর্কে দর্শকদের কৌতূহলী করে তোলার প্রয়োজন ছিল।

প্রশ্ন আসতে পারে, আগে প্রচারণার প্রয়োজন না হলে এখন কেন হচ্ছে? কারণটি হল, ২০০০ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বাংলা সিনেমা 'ছিঃনেমা' যুগ বা অশ্লীল সিনেমা যুগ পার করেছে। এই সময়ে প্রায় ৪০০ অশ্লীল সিনেমা তৈরি হয়েছিল। ফলাফল, সিনেমার সত্যিকারের দর্শক সিনেমা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। এসব দর্শক কি তখন সিনেমা দেখেনি? দেখেছে। তখন তারা ইন্টারনেট ভিত্তিক মিডিয়া এবং টেলিভিশনে প্রদর্শিত বিদেশি সিনেমার প্রতি ঝুঁকেছিলো। মুখ ফিরিয়ে নেয়া এই দর্শকদের আবার আমাদের সিনেমা হলমুখী করতে হবে। এজন্য বর্তমানে রুচিশীল সিনেমা তৈরি হচ্ছে- এই প্রচারণা যেমন জোরেশোরে চালাতে হবে, একই সাথে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সম্পর্কেও সাধারণ দর্শকদের আগ্রহী করে তুলতে হবে। কারণ, আমরা জানি একটি সিনেমার দর্শকপ্রিয়তা অর্জন অনেকটাই নির্ভর করে তার কলা-কুশলীদের উপরে। তাদের সম্পর্কে যদি দর্শকদের আগে থেকেই একটা ভাল ধারণা থাকে তাহলে সেই ছবিটার প্রতি দর্শকদের আগ্রহের মাত্রাটাও বাড়ে।

এক্ষেত্রে দেশিয় দৈনিক এবং বিনোদন পত্রিকাগুলো মুখ্য ভূমিকা রাখতে পারে। আমাদের দেশের গণমাধ্যমগুলো গতানুগতিক ধারায় চলচ্চিত্রের সংবাদগুলো প্রকাশ করে। চলচ্চিত্রের ভেতর থেকে তথ্য বা সংবাদ তুলে আনা, চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশের চিন্তা থেকে কোন তথ্য তুলে আনা হয় না।

চলচ্চিত্রের প্রচারে ভিন্নতা আনা জরুরি। আমাদের দেশে সিনেমা নিয়ে মার্কেটিং হয় না বললেই চলে। এখানে যেটা হয় তাকে সিনেমার খবর বলা যেতে পারে। প্রয়োজন সিনেমার মার্কেটিং। অন্যান্য দেশে যেখানে সাইনিংয়ের পর থেকে প্রচারণা শুরু হয়ে যায়, বিভিন্ন দেশে সিনেমাকে প্রমোট করার জন্য সিনেমাটির গান, নায়ক-নায়িকার বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে দর্শকদের মনে সেই সিনেমা সম্পর্কে কৌতূহলী করে তোলা হয়, সেখানে আমাদের দেশে এর কোনটাই করা হয় না।

আমরা যদি সিনেমার মার্কেটিংকে মাথায় রাখি তাহলে বিনোদন পত্রিকাগুলোতে সিনেমা জগতের তারকাদের নিয়ে নতুন নতুন খবর তৈরি করে শিল্পীদের মিডিয়া কাভারেজ বাড়াতে পারি। যা তার আপকামিং সিনেমা সম্পর্কে দর্শকদের আগ্রহী করে তুলবে। নতুন সিনেমার সাইনিং, শুটিং, মহরত কিংবা রিলিজ- এগুলি সিনেমা জগতের খবর হতে পারে, কিন্তু এতে সিনেমার প্রচারণা হয় না। তাছাড়া সিনেমাপ্রেমী দর্শকদের সিনেমার স্বার্থেই সিনেমার জগতে ডুবিয়ে রাখতে হয়। আর তা করতে হলে তারকাদের সম্পর্কে দর্শকদের জানার যে আগ্রহ তা পূরণ করতে হবে। বিনোদন পত্রিকাগুলো তাদের অফ দ্য রেকর্ড গল্পগুলি তুলে আনতে পারে। একই সাথে যে সব শিল্পীরা অভিনয় জগত থেকে নানা কারণেই দূরে সরে গেছেন তাদের সম্পর্কেও দর্শকের জানার কৌতূহল কম নয়। তাদের সম্পর্কে স্টোরি করা যেতে পারে। যারা এখনও কাজ করছেন তাদের এই শিল্প নিয়ে মান-অভিমান, প্রত্যাশা-প্রাপ্তির গল্প প্রকাশ করতে পারে। যারা বর্তমানে সিনেমা জগতে কাজ করে চলেছেন তাদের সাক্ষাৎকার, সামাজিক কর্মকাণ্ড ইত্যাদি প্রকাশ করে তাদের সম্পর্কে দর্শকদের আগ্রহী করে তুলতে পারে।

অনেক দিন পরে হঠাৎ করে কোন তারকার খবর কিংবা তার অভিনীত কোন কোন সিনেমার খবর সাধারণ দর্শকদের খুব একটা নাড়া দেয় না। ফলে তাদের সৃষ্টিকর্ম সম্পর্কেও দর্শকরা আগ্রহী হন না। আমাদের দর্শকরা সারাক্ষণ মেতে থাকছে বিদেশি শিল্পীদের খবরা-খবর নিয়ে। স্বাভাবিকভাবেই তাদের আগ্রহটাও তাদের সৃষ্টিকর্ম নিয়ে। কাজেই সিনেমা শিল্পকে জাগিয়ে তুলতে আমাদের বিনোদন সাংবাদিকতা অনেকখানি ভূমিকা রাখতে পারে। তারা আমাদের শিল্পীদের বিষয়ে দর্শকদের আগ্রহী করে তুলতে পারেন যা তাদের সৃষ্টিকর্মের প্রতি সাধারণ দর্শকদের আগ্রহী করে তুলবে।

এ তো গেল সিনেমার কথা। অন্যদিকে হলের পরিবেশের কারণে সিনেমা বিমুখ দর্শকদের হলমুখী করতে হল কর্তৃপক্ষকেও হলের পরিবেশ উন্নত হয়েছে কিনা সেটা জানান দিতে হবে। নয়তো আগ্রহ থাকলেও পূর্বের বাজে অভিজ্ঞতার কারণে দর্শক হলমুখী হবে না।

সিনেমার গল্প

সিনেমার গল্প কেমন হওয়া উচিৎ এ নিয়ে সিনেমা সংশ্লিষ্টদের মধ্যে মতভেদ আছে। বেশির ভাগই মনে করেন অ্যাকশনধর্মী এবং বিশেষ কোন দুঃখের বিষয়ে আলোকপাত না করলে ঐ সিনেমা ব্যবসাসফল হবে না। এই ধারণাটা যে সঠিক নয় তার উদাহরণ হতে পারে পশ্চিমবঙ্গের বর্তমানের সিনেমার গল্পগুলো। যেখানে স্রেফ হাস্য-রসাত্মক সাধারণ গল্প দিয়েও ব্যবসা সফল ছবি তৈরি হচ্ছে।

একজন দর্শক সিনেমা হলে যান স্ট্রেসমুক্ত হতে। দুঃখ কিনতে কেউ সিনেমা হলে যান না। এখানে বিনোদনই প্রাধান্য পাওয়া উচিৎ। অজ্ঞাতনামা'র মত সিনেমা আমাদের অন্তর-চক্ষু খুলে দেয় এটা সত্য। এ ধরনের গল্প আমাদের বাস্তবতার মুখোমুখি করে, নতুন করে ভাবতে শেখায়। এ ধরনের গল্পের সিনেমা অবশ্যই দরকার আছে, কিন্তু সিনেমা শিল্পকে বাঁচাতে হলে ব্যবসাসফল সিনেমার বিকল্প নেই। সেক্ষেত্রে বিনোদনমূলক হাস্য-রসাত্মক সামাজিক গল্পেরও প্রয়োজন আছে।

আমাদের দেশের সিনেমায় কমেডি একটি অংশমাত্র, অথচ কমেডিয়ান সিনেমার রয়েছে প্রচুর দর্শকপ্রিয়তা। তাছাড়া এখানে কমেডি বলতে যেটা দেখানো হয় সেটাকে ভাঁড়ামি বলা চলে, কমেডি নয়। কমেডি যে একটা শিল্প এটা আমাদের নির্মাতারা যেন বুঝতেই চান না।

চলচ্চিত্রের রয়েছে নানা ধরণ। যার মধ্যে জনপ্রিয় কিছু ধরন হল- হরর, রোমাঞ্চ, অ্যাকশন, থ্রিলার, ঐতিহাসিক, মহা কাব্যিক, রূপকথা, অপরাধ, কমেডি প্রভৃতি। আমার জানামতে আজ অবধি আমাদের দেশে এমন কোন গবেষণা চালানো হয়নি যাতে জানা যায় এ দেশের কত শতাংশ দর্শক কোন ধরনের চলচ্চিত্র দেখতে চায়? তাহলে আমরা কি করে বুঝব কোন ধরনের ছবি করলে সে ছবি ব্যবসাসফল হবে?

চলচ্চিত্রে সৃজনশীল নির্মাতার অভাব

আমাদের চলচ্চিত্রের এই মুহূর্তে সৃজনশীল পরিচালক তেমন নেই। যারা আছেন তারা কাজ করছেন না। আমাদের প্রয়োজন সৃজনশীল পরিচালক। যারা বর্তমান শিল্পীদের নতুনভাবে উপস্থাপনের যোগ্যতা রাখেন। যারা একজন শিল্পীর ভেতর থেকে তার সবটুকু প্রতিভা বের করে আনতে পারেন। আমাদের জয়া আহসান, রোশন, ফেরদৌস, সাকিব খান, ফাড়িয়ারা পশ্চিমবঙ্গের সিনেমায় যুক্ত হয়ে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পান, নানা পুরস্কারে ভূষিত হন। পক্ষান্তরে এ দেশের সিনেমায় একের পর এক ফ্লপ ছবি উপহার দেন এরাই! তখন শিল্পী নয় যোগ্যতার প্রশ্নটি কলা-কুশলীদের উপরেই গিয়ে পরে। প্রশ্ন হল এমনটি কেন হচ্ছে? এর উত্তর খুঁজতে গিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধে একটি চমকপ্রদ তথ্য জানা গেল।

১৯৫৬ সালে আবদুল জব্বার খান, এহতেশাম, জহির রায়হান, শিবলি সাদিকদের মত নির্মাতাদের হাত ধরে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের যে যাত্রা শুরু হয়েছিল এবং পরবর্তীতে গাজী মাজহারুল আনোয়ার, চাষী নজরুল ইসলাম, কাজী হায়াৎ, নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চুর মত অসংখ্য গুণী নির্মাতা ঢাকাই চলচ্চিত্রকে একের পর এক দর্শক নন্দিত চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছিলেন তারা এখন আর সিনেমা তৈরি করছেন না বললেই চলে। তারা যখন নিজস্ব ভাবনা ও দর্শন অনুযায়ি সিনেমার কাজ না পেয়ে সিনেমা নির্মাণ থেকে দূরে সরে গেছেন, ঠিক তখনই বাংলা সিনেমায় নামে 'নির্মাতার' ঢল।

এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ২০১৩ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত চার বছরে ঢাকাই চলচ্চিত্রে নির্মাতা হিসেবে আগমন ঘটেছে ৯৭ জনের! ১৯৫৬ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত যেখানে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সদস্য ছিল মোট ২৭৫ জন, সেখানে ২০১৩-২০১৬ এই চার বছরে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সদস্য পদ ৯৭ জন বেড়ে ৩৭২ জনে উন্নীত হয়েছে! এত যখন নবীন নির্মাতা এলেন তখন সিনেমা শিল্পের তো ভাল থাকার কথা। কিন্তু কি হলো? তারা উপহার দিলেন নকল চিত্রনাট্য, মানহীন নির্মাণশৈলী, আর প্রকটভাবে উপস্থাপন করলেন নিজেদের দক্ষতার অভাব। ফলাফল, চার বছরে মোট ২৫৪টি সিনেমা নির্মিত হল, কিন্তু ব্যবসাসফল মাত্র ১৭টি। বাকি সব সিনেমা ফ্লপ! তাহলে এই নির্মাতাদের দিয়ে কী হবে? তারা কি প্রশিক্ষণ নিয়ে নির্মাতা হয়েছেন না কি শখে? বলা যায় অশ্লীল সিনেমার অভিশাপ মুক্ত হওয়ার পরেও এদের কারণেই সিনেমা শিল্প ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়নি।

সিনেমাপাড়ার দলাদলি

তার মানে এই নয় যে এ দেশে ভাল মানের ছবি তৈরি হচ্ছে না। হচ্ছে, কিন্তু তা সংখ্যায় খুবই কম। আর তার প্রচারণাও নেই বললেই চলে। তবে সেই সব সিনেমাকে ঠিক বাণিজ্যিক ছবি বলা যায় কিনা সে ব্যাপারে প্রশ্ন রয়েছে। তারপরেও বলব, নতুন যে সব নির্মাতারা দর্শকনন্দিত সিনেমা বানাচ্ছেন তাদের প্রণোদনা দিতে হবে। সুযোগ করে দিতে হবে। এই নবীনরা পদে পদে বাধাগ্রস্ত হন ফ্লপ ছবির নির্মাতা এবং রাজনৈতিক আশীর্বাদপুষ্ট একদল সিনে নেতাদের তৈরি অশুভ চক্রের দ্বারা। ফলে একটা সময়ে তারা আর নতুন ছবি নির্মাণে আগ্রহী হন না। ভালো চলচ্চিত্রের জন্য সিনেমা পাড়ার এই অশুভ বলয় ভাঙতে হবে। যারা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে কুক্ষিগত করে রেখেছেন, তাদেরকে প্রতিহত করা জরুরি। তারা যে লেবাসধারীই হন না কেন? একজন স্বনামধন্য অভিনেতা হলেই যে তিনি একজন সফল প্রশাসকও হবেন এটা ভাবার কোন কারণ নেই। এফডিসিতে আজ যে দলাদলি হচ্ছে, সেখানে নতুনদের পুরাতনরা সরিয়ে দিচ্ছে। এই নেক্সাস ভাঙতে হবে।

বর্তমান যেখানে উন্নত প্রযুক্তির ছোঁয়ায় সিনেমা হচ্ছে আরও নিখুঁত ও প্রাণবন্ত, সেখানে বাংলাদেশের সিনেমা অনেকটাই পেছনে পরে রয়েছে। যা কাটিয়ে ওঠাটাও সিনেমা শিল্পের জন্য জরুরি। আর এসব সমস্যার একটিকে বাদ দিয়ে অন্যটির দিকে নজর দিলে হবে না। সবগুলি সমস্যার সমাধানেই সমান গুরুত্বের সাথে মনোযোগি হতে হবে। আমরা চাই বাংলা সিনেমা তার হৃত গৌরব ফিরে পাক। সে জন্যে প্রয়োজন সময়োপযোগী ও সাহসী পদক্ষেপ। একই সাথে নিতে হবে সমন্বিত উদ্যোগ।