Published : 26 Aug 2018, 07:56 AM
বাংলাদেশের ১৯৭২ এর সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭এ বলা হয়েছে "প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ"। অতএব সংবিধান অনুসারে রাষ্ট্র ক্ষমতার কোন পদে ( রাষ্ট্র প্রধান, সরকার প্রধান, মন্ত্রী, উপদেষ্টা ইত্যাদি) অধিষ্ঠিত হতে হলে তার জন্য জনগণের সমর্থন ও অনুমোদন নেয়া বাধ্যতা মূলক। অনুচ্ছেদ ৭(২) অনুসারে এই সংবিধানের সাথে অসামঞ্জস্য কোন আইন করা হলে তা বাতিল গন্য হবে। ইতিমধ্যে ১৩শ সংশোধনী ও বাতিল ঘোষিত হয়েছে। তবে আরও ২টা নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করার কথা বলা হয়েছে।
কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার অসংগতি ও ক্ষতিকর দিকগুলো ভেবে দেখা দকার।
১। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা শুধু মেয়াদোত্তীর্ণ বা সংসদ ভেঙ্গে দেয়ার পর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য; উপনির্বাচন বা স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য নয়। তা হলে বিষয়টা দাঁড়ায় উপনির্বাচন ও স্থানীয় নির্বাচন সুষ্টুভাবে করতে নির্বাচন কমিশন সক্ষম অথবা এসব নির্বাচনে কারচুপি জায়েজ।
২। এই ব্যবস্থা সুপ্রিমকোর্টের বিচারক ও বিচার ব্যবস্থাকে বিতর্কিত করে। যা রাষ্ট্রকে ব্যার্থতার দিকে ঠেলে দেয়।
৩। নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থাহীনতা সৃষ্টি করে।
৪। রাজনীতিবিদদের নির্বাচনে অসৎ উপায় অবলম্বন ও কারচুপির দায়যুক্ত করে। কিন্তু যে অসৎ রাজনীতিকরা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে অপারগ তাদেরকে রাষ্ট্র পরিচালনা করার দায়িত্ব দেয়া নিরাপদ হতে পারে না। এমন অবস্থায় বাংলাদশে কোন রাজনৈতিক দলই নির্বাচন করার নৈতিকতা ও বৈধতা রাখে না।
৫। জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় এমন অচেনা অজানা ব্যক্তিকে পিছন দরজা দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করার পথ সৃষ্টি করে। এতে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের ক্ষমতায় বসানো যায়।
এই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার বিপরীতে সর্বোচ্চ পরিষদ ব্যবস্থা গ্রহনযোগ্য হতে পারে। সর্বোচ্চ পরিষদের গঠন ও দায়িত্ব আমার লেখায় ৫ম পর্বে বর্ণিত হয়েছে।বর্তমান প্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ পরিষদ গঠিত হতে পারে
(ক) রাষ্ট্রপতি
(খ) প্রধান মন্ত্রী
(গ) জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা
(ঘ) জাতীয় সংসদের স্পিকার
(ঙ) প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
এই পরিষদের দায়িত্বে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।