ঢাকা ক্লাব, গুলশান ক্লাবে চুরি করতেন তিনি

শুধু চুরি না, নানাভাবে প্রতারণাও করে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে, গ্রেপ্তারও হয়েছেন একাধিকবার, বলেন গোয়েন্দারা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 March 2024, 03:45 PM
Updated : 16 March 2024, 03:45 PM

রাজধানী ঢাকা থেকে এক নারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ বলছে, ‘অভিজাত’ ওই চোর ঢাকা ক্লাব, গুলশান ক্লাব, উত্তরা ক্লাবসহ বিভিন্ন পাঁচ তারকা হোটেল ও রেস্তোরাঁয় কৌশলে ঢুকে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপসহ চুরি করতেন।

এসব অভিজাত স্থানে প্রায় এক যুগ ধরে চুরি করে এলেও গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ধরা পড়েন সম্প্রতি।

ঢাকা ক্লাবে একজন নারী চিকিৎসকের মোবাইল ফোন ও ব্যাগ খোয়া যাওয়ার পর রমনা থানায় করা মামলার সূত্রে গোয়েন্দা পুলিশ গত বুধবার তাকে গ্রেপ্তার করে।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশিদ শনিবার তার কার্যালয়ে জুবাইদা সুলতানা (৪৪) নামে ওই নারী চোরকে গ্রেপ্তারের তথ্য সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ওই নারী চোরের বাবা অবসরপ্রাপ্ত একজন সরকারি আমলা।

জুবাইদা শুধু চুরি না, নানাভাবে প্রতারণাও করে আসছিলেন দাবি করে গোয়েন্দা কর্মকর্তা হারুন বলেন, গত ৩ মার্চ ঢাকা ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে এক নারী চিকিৎসকের মোবাইল ফোন, ব্যাগ ও গহনা চুরি করে। পরে চিকিৎসকের মোবাইল ফোনের হোয়াটঅ্যাপ নম্বরটি নিজের ফোনে ‘ডাইভার্ট’ করে নেয়। এরপর সেই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে বিভিন্ন রোগীদের প্রতারণার মাধ্যমে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে আসছিল। 

উপ-পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ-দক্ষিণ) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, রমনা থানায় ওই নারী চিকিৎসকের মামলার তদন্ত করতে গিয়ে এ প্রতারক নারীর সন্ধান মেলে। ওই নারীর বাবা অবসরপ্রাপ্ত একজন সরকারি কর্মকর্তা এবং তার বোন একটি মোবাইল কোম্পানিতে উচ্চপদে কর্মরত। তবে জুবাইদার দীর্ঘদিনের এই আচরণের কারণে বাবা-মা ভাইবোনের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন।

তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে একই ধরনের বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে এবং একাধিকবার গ্রেপ্তারও হয়েছেন।

“জুবাইদা মূলত ঢাকা ক্লাব, গুলশান ক্লাব, র‌্যাডিসন ও সোনারগাঁও এর মতো অভিজাত হোটেলে বিভিন্ন সভা-সেমিনারে অংশ নিয়ে চুরি করে। এসব সভা সেমিনারে অংশ নেওয়া নারীরাই তার মূল টার্গেট। চুরি করা জিনিস ব্যবহার করে বিলাসী জীবনযাপন করতেন।”

তার বিরুদ্ধে আইনুনগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা শহীদুল।