নিত্যপণ্যের দাম সহনশীল হওয়া জরুরি: প্রধানমন্ত্রী

সাধারণ মানুষের জীবনটা যেন কষ্টে না পড়ে সেটা দেখতে বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 August 2022, 12:05 PM
Updated : 16 August 2022, 12:05 PM

সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়া নিত্যপণ্যের বাজারকে সহনশীল পর্যায়ে নিয়ে আসা জরুরি জানিয়ে দেশের উৎপাদন বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, “আমি মনে করি যে, হয়তো আমাদের আরও কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। যাতে…

“আমাদের মানুষের এই ক্রয়ক্ষমতার বাইরে যে পণ্য মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, এটাকে আমরা সহনশীল পর্যায়ে কিভাবে নিয়ে আসতে পারি, সেই ব্যবস্থাটা আমাদের নেওয়া একান্তভাবে জরুরি বলে আমি মনে করি।”

জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার পর মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষের নির্দিষ্ট আয়ের ছকে জীবন চালিয়ে নেওয়ার কষ্ট সরকার ‘উপলব্ধি’ করতে পারছে বলেও জানান সরকার প্রধান।

তিনি বলেন, “যদিও আমরা এখন ১৫ টাকায় চাল, এটা প্রায় ৫০ লক্ষ পরিবারকে আমরা দেব। সেটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

“তাছাড়া আমরা একটা নির্দিষ্ট মূল্যে প্রায় ১ কোটি মানুষের জন্য বিশেষ পারিবারিক কার্ড দিয়েছি আমরা, যাতে তারা ন্যায্যমূল্যের জিনিস কিনতে পারে সেই ব্যবস্থার পদক্ষেপ নিচ্ছি।”

এসময় আন্তর্জাতিক বাজারে ইউক্রেইন যুদ্ধের প্রভাব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মরার উপর খড়ার ঘা ইউক্রেন যুদ্ধ। এই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে এবং তারপর হলো স্যাংশান, পাল্টা স্যাংশান।

“স্যাংশান দেওয়ার পরই দেখা গেল যে, কেনার সামর্থ্য থাকলেও ক্রয়ক্ষমতার বাইরে সব কিছু চলে গেল। যারা নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত, যাদের নির্দিষ্ট আয়ে চলতে হয় তাদের জন্য খুব কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। এটা আমরা উপলব্ধি করতে পারি।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মানুষের জন্যই তো রাজনীতি করি, মানুষ কষ্ট পেলে আমারও কষ্ট হয়। আমাদেরও এখন পদক্ষেপ নিতে হবে। নিজেদের উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমি এটা সেই করোনাকালীন সময় থেকে বলে আসছি।”

কোভিড মহামারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধ মানুষের জীবন-জীবিকায় নানাভাবে ‘প্রতিবন্ধকতা’ সৃষ্টি করছে উল্লেখ করে এর সমাধানের পথ খোঁজার তাগিদ দেন তিনি।

“কিভাবে উত্তরণ ঘটানো যায় সেটা দেখতে হবে। আমি চিন্তা করি আমার দেশের মানুষের কথা। মানুষের জীবনটা যেন কষ্টে না পড়ে,”-বলেন শেখ হাসিনা।

স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশ গড়ে তোলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেওয়া নানা পদক্ষেপের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ‘অপপ্রচার’ ও ‘ধ্বংসাত্নক’ কর্মকাণ্ডের কথাও স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “স্বাধীনতার পর দেশটা যখন অগ্রগতির পথে অগ্রযাত্রা শুরু করে তখনই আঘাতটা আসে।”

উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পাওয়ার উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “এই বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের যখন একটু পরিবর্তন হয় এবং ভালোর দিকে যায় তখনই কিন্তু নানা রকম শঙ্কা সৃষ্টি হয়, চক্রান্তও শুরু হয়।”