দেশের নারী সাংবাদিকতার পথিকৃৎদের একজন সেতারা মূসা মারা গেছেন।
মঙ্গলবার ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের উপদেষ্টা সেতারা মূসা সাংবাদিকতা শুরু করেন ১৯৬৭ সালের দিকে, তখন মুষ্টিমেয় কয়েকজন নারী ছিলেন এ পেশায়। তিনি দেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রে নারী পাতার সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন।
আরেক পথিকৃৎ সাংবাদিক আবদুস সালামের জ্যেষ্ঠ কন্যা সেতারা মূসার স্বামী ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক এ বি এম মূসা।
সেতারার ছোট মেয়ের স্বামী আফতাবউদ্দিন তপন বলেন, “গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি (সেতারা মূসা)। আজ বিকাল ৩টার দিকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।”
ফুসফুসের প্রদাহজনিত কারণে দীর্ঘদিন অসুস্থতায় ভুগছিলেন সেতারা মূসা। গত ২০ বছর ধরে হুইল চেয়ারে চলাচল করতে হত তাকে।
নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু বলেন, “সেতারা মূসা আমাদের নারী সাংবাদিকদের পথিকৃতদের অন্যতম। তিনি কর্মজীবনে অনেক পত্রিকায় নারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন, নারী সাংবাদিকদের এগিয়ে নিতে এবং সংগঠিত করেছেন।
“আমাদের সংগঠনেরও উপদেষ্টা ছিলেন তিনি। আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি।”
সেতারা মূসার তিন মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। ছোট মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, মেজ মেয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের নির্বাহী সদস্য ও নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক।
জামাতা আফতাবউদ্দিন জানান, মঙ্গলবার বাদ এশা মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডের বায়তুস সালাম মসজিদের প্রথম জানাজা হবে। তারপর মরদেহ ফ্রিজিং ভ্যানে রাখা হবে।
বুধবার বাদ জোহর ফেনীর ফুলগাজীতে স্বামী প্রয়াত এবিএম মূসার কবরের পাশে শায়িত করা হবে সেতারাকে।
২০১৪ সালে এপ্রিলে স্বামী প্রখ্যাত সাংবাদিক এ বি এম মূসা ৮৩ বছর বয়সে মারা যান।