Published : 10 Jan 2024, 06:59 PM
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থ মেয়াদে যে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে, তাতে যোগ দেওয়ার ডাক পেয়েছেন নতুন ও পুরনো বেশ কয়েকজন।
প্রথমবারের মত মন্ত্রিসভায় আসছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “পূর্ণ মন্ত্রী হচ্ছি, এই মর্মে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ফোন পেয়েছি।”
২০০৯-২০১৪ মেয়াদে স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা জাহাঙ্গীর কবির নানক পরের মেয়াদে সরকারে ঠাঁই পাননি। তবে এবার তাকে মন্ত্রিসভায় ফিরিয়ে আনছেন শেখ হাসিনা।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নানক বলেন, “কালকে শপথ নেওয়ার জন্য আমাকে ফোন করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে।”
পুরনোদের মধ্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গত দুইবারের মত সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়েই বহাল থাকছেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক বুধবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "ঘণ্টাখানেক আগে কেবিনেট ডিভিশন থেকে ফোন পেয়েছি।"
সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ফোন পাওয়ার কথা জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কোনো মন্ত্রণালয় বলেনি। তবে, কালকে শপথ নিতে বলেছে।”
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামও শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ফোন পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। তবে কোন মন্ত্রণালয় পাচ্ছেন, সেটা জানানো হয়নি।
আইন মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, তিনি সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ফোন পেয়েছেন। তাকে শপথে যোগ দিতে বলা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এবং শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ হুমায়ুনও শপথের জন্য ফোন পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমানও নতুন মন্ত্রিসভায় আসতে পারেন বলে গুঞ্জন ছিল। তবে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, মন্ত্রিসভায় তিনি যাচ্ছেন না।
ফোন পেয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলও। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “মন্ত্রি পরিষদ সচিব মহোদয় আমাকে ফোন করেছেন। তবে কোন মন্ত্রণালয়ের জন্য সেটা জানানো হয়নি।”
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী নতুন মন্ত্রিসভায় থাকছেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ফোন পাওয়ার কথা জানিয়েছেন তারা দুজনই।
এবারও থাকছেন জানিয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রতিমন্ত্রী ক্যাটাগরিতেই ফোন পেয়েছি। তবে মন্ত্রণালয় নিশ্চিত হইনি।”
তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে ফোন করা হলে তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা সাদ্দাম হোসেন জানান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ফোন পলকও পেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২৫ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী এবং তিনজন উপ-মন্ত্রী গত পাঁচ বছর সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তাদের মধ্যে টেকনোক্র্যাট (সংসদ সদস্য নন এমন) দুজন মন্ত্রী ও একজন প্রতিমন্ত্রী পদত্যাগ করেন। তারা হলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম।
বিদায়ী সরকারের তিনজন প্রতিমন্ত্রী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নই পাননি। তারা হলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।
মনোনয়ন পেলেও নির্বাচনে হেরে গেছেন তিনজন প্রতিমন্ত্রী। তারা হলেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।
নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠান হবে বৃহস্পতিবার। সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে শপথ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ইতোমধ্যে জানিয়েছে। নতুন সরকারে কে কোন মন্ত্রণালয় পাবেন, তা জানা যাবে দপ্তর বণ্টনের পর।
[এটি একটি ডেভেলপিং স্টোরি। নতুন তথ্য পাওয়া মাত্র হালনাগাদ করা হচ্ছে]