এ বিষয়ে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে সুপারিশ করার জন্য এনসিটিবিকে অনুরোধও জানান মন্ত্রী।
Published : 25 Jan 2024, 08:27 PM
নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে মূল্যায়ন পদ্ধতি পর্যালোচনার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলের জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্য পুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) পরীক্ষা ও মূল্যায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এই অনুরোধ জানান।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ধারাবাহিক মূল্যায়ন, ষাণ্মাসিক ও বার্ষিক পরীক্ষার বিষয়ে শিক্ষাবর্ষের প্রথম দুই মাস জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সৃষ্ট হওয়া অভিজ্ঞতার তথ্য ও উপাত্ত পর্যালোচনা করে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য মূল্যায়ন সহজবোধ্য করার বিষয়ে আরো বিস্তারিত খতিয়ে দেখতে হবে।”
এ বিষয়ে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে সুপারিশ করার জন্য এনসিটিবিকে অনুরোধও জানান মন্ত্রী।
নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হবে বছরজুড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিখনকালীন মূল্যায়নের মধ্য দিয়ে। এছাড়াও বছর শেষে পরীক্ষার মাধ্যমে হবে সামষ্টিক মূল্যায়ন।
প্রাক-প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা হবে না। তাদের শতভাগ শিখনকালীন মূল্যায়ন করা হবে।
চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞানে ৬০ শতাংশ শিখনকালীন মূল্যায়ন এবং ৪০ শতাংশ সামষ্টিক মূল্যায়ন করা হবে। বাকী বিষয়গুলোতে শিখনকালীন শতভাগ মূল্যায়ন করা হবে।
নবম ও দশম শ্রেণিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞানে ৫০ শতাংশ শিখনকালীন মূল্যায়ন এবং বাকি ৫০ শতাংশ সামষ্টিক মূল্যায়ন করা হবে।
জীবন ও জীবিকা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা, ধর্ম শিক্ষা এবং শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ে শতভাগ মূল্যায়ন করা হবে। দশম শ্রেণি শেষে দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির উপর পাবলিক পরীক্ষা হবে।
একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে আবশ্যিক বিষয়ে শিখনকালীন মূল্যায়ন ৩০ শতাংশ এবং সামষ্টিক মূল্যায়ন হবে ৭০ শতাংশ। আর প্রয়োগিক বিষয়ে শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে শতভাগ।
একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যসূচির উপর প্রতি বর্ষ শেষে একটি করে পরীক্ষা হবে। এসব পরীক্ষার ফলের সমন্বয়ে চূড়ান্ত ফলাফল নির্ধারিত হবে।
মতবিনিময় সভায় এনসিটিবির চেয়ারম্যান ফরহাদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক তারিক আহসানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।