আসামিরা কোনো লিখিত বক্তব্য না দিয়ে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ১০ মিনিট বক্তব্য রাখেন।
Published : 26 Jul 2023, 11:57 PM
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের মামলায় আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন শেষ হয়েছে।
ঢাকার ১০ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নজরুল ইসলাম বুধবার এ মামলার যুক্তিতর্ক শুরুর জন্য ২ অগাস্ট দিন ঠিক করে দিয়েছেন।
কারাগারে থাকা চার আসামি অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধাকে এদিন আদালতে হাজির করা হয়। পিকে হালদারসহ ১০ আসামি পলাতক রয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষে দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীরা কে কী বলেছে তা পাঠ করে শুনিয়ে এদিন আসামিদের বক্তব্য জানতে চান বিচারক। তিনি এও জানতে চান, তারা তাদের পক্ষে কোনও সাফাই সাক্ষ্য দেবেন কি না।
উত্তরে আদালতে উপস্থিত আসামিরা বলেন, তাদের পক্ষে কোনো সাফাই সাক্ষ্য দেওয়া হবে না। এ সময় তারা কোনো লিখিত বক্তব্য না দিয়ে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ১০ মিনিট বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচারের মামলার আসামি পিকে হালদার বর্তমানে ভারতের পশ্চিমবাংলায় কারাগারে আটক আছেন। সেখানেও তার বিচার চলছে।
করোনাভাইরাস মহামারীর সময় তিনি দেশে ফিরে টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়ে আদালতে কাগজ জমা দিয়েছিলেন তার আইনজীবীরা। দেশে ফিরলে তাকে যেন গ্রেপ্তার করা না হয়, এমন আবেদন ফিরিয়ে বিমানবন্দর থেকে ধরে তাকে আদালতে নিয়ে আসার আদেশ আসে হাই কোর্ট থেকে।
এরপর পিকে আর দেশে ফেরেননি। তিনি কানাডায় আছেন, এমন একটি প্রচারের মধ্যে গত বছরের মে মাসে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তাকে গ্রেপ্তারের খবর আসে।
পিকে হালদারের কারণে দেশের বেশ কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার দশায় পড়েছে। শত শত কোটি টাকা তুলে নেওয়ার কারণে আমানতকারীদের টাকা ফিরিয়ে দিতে পারছে না সেগুলো।
যে মামলায় তার বিচার চলছে, তাতে তার মা লীলাবতী হালদার ছাড়াও আসামি আছেন পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তমকুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি; তারাও পলাতক।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি মামলাটি করেন দুদকের উপপরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।
এজাহারে বলা হয়, পি কে হালদার অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন। ওই অর্থ বিদেশে পাচার করে মানি লন্ডারিং আইনেও অপরাধ করেন।
তদন্ত শেষে ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন।