রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপস্থিতিতে ভার্চুয়াল এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ইউরেনিয়াম জ্বালানি সরবরাহের সনদ তুলে দেওয়া হয়।
Published : 05 Oct 2023, 05:01 PM
পাবনার রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ইউরেনিয়াম বুঝে পাওয়ার মধ্য দিয়ে পারমাণবিক জ্বালানি ব্যবহারকারী দেশের তালিকায় নাম লেখালো বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপস্থিতিতে ভার্চুয়াল এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে জ্বালানি সরবরাহের সনদ তুলে দেওয়া হয়।
সনদ হস্তান্তরের সময় পুতিন বলেন, “এটা আমাদের জন্য বিশেষ মর্যাদার ব্যাপার, রূপপুরের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে জ্বালানির সার্টিফিকেট প্রদানের অনুমতি প্রদান করছি।”
সনদ হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিকতার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “জনগণের জন্য আজ অত্যন্ত গর্বের দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে পারমাণবিক জ্বালানি শক্তিধর দেশ করার জন্য যে কাজের সূচনা করেছিলেন, আজ তার সফল পরিণতি লাভ করবে।”
গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাশিয়া থেকে আকাশপথে ঢাকায় পৌঁছায় পারমাণবিক জ্বালানি। এরপর বিশেষ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সড়কপথে রূপপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকালে পারমাণবিক জ্বালানির দ্বিতীয় চালান ঢাকায় পৌঁছায়।
জ্বালানি হস্তান্তরের মাধ্যমে পারমাণবিক জ্বালানির যুগে পদার্পণের জন্য বৃহস্পতিবার রূপপুরে ‘গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানের’ আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ এখন পারমাণবিক জ্বালানি ব্যবহারকারী বিশ্বের ৩৩তম দেশ।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্যদিকে মস্কো থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।
আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রসি ভিয়েনা থেকে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন অনুষ্ঠানে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের সভাপতিত্বে রূপপুর প্রান্তে অন্যদের মধ্যে রোসাটমের মহাপরিচালক রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক শৌকত আকবর বক্তব্য দেন।
দেশের সবচেয়ে বড় মেগা প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। ২০২৫ সালের শুরুতে রূপপুরের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে সরকার আশা করছে।