এক পোস্টে ঢাকার পুলিশ কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাবেক এমপি রনি।
Published : 29 Jan 2024, 03:53 AM
সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনির ছেলের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
দুদিন আগে ফেইসবুকে পোস্ট দিয়ে নিজের ছেলের ভোগান্তির কথা জানিয়েছিলেন রনি।
তার অভিযোগ, ভর দুপুরে রোদের মধ্যে ঢাকার সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় তার ছেলের গাড়ি এক ঘণ্টা আটকে রাখেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। গাড়িতে কোনো ত্রুটি না পেলেও ১ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে ছাড়া পান তার ছেলে।
ওই পোস্টে ঢাকার পুলিশ কমিশনারের দৃষ্টিও আকর্ষণ করেন সাবেক এমপি রনি। পরে বুধবার ডিএমপি কমিশনার রনি ও তার প্রকৌশলী ছেলেকে ডেকে নিলে তারা অভিযুক্ত ট্রাফিক কনস্টেবলকে শনাক্ত করেন। রমনা ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার জয়নুল আবেদীন বলেন, ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশে নিউ মার্কেট এলাকায় দায়িত্বরত সব পরিদর্শক, সার্জেন্ট ও কনস্টেবলদের ডেকে এনে শুনানি করা হয়। অভিযোগকারী গোলাম মাওলা রনিকেও আসতে অনুরোধ করা হয়। বুধবার তারা এসে ‘কনস্টেবল আশরাফ’কে শনাক্ত করেন। জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ওই কনস্টেবলকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে উপকমিশনারের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রনি ২০০৮ সালে পটুয়াখালী-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৮ সালে তিনি বিএনপিতে যোগ দিয়ে প্রার্থী হলেও ভোটে হেরে যান।
ছেলের দুর্ভোগের কথা তুলে ধরে রনি তার ফেইসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, “আমি নিজের টাকায় গাড়ি কিনে গত ৩০ বছর ধরে রাজপথে চলছি, কোনোদিন পুলিশের কবলে পড়তে হয়নি। জীবনের সব প্রয়োজনে পুলিশের সহযোগিতা পেয়েছি এবং একটি পয়সাও ঘুষ দিতে হয়নি। তাই পুলিশ নিয়ে আমার যে বিশ্বাস এবং আস্থা ছিল, তা গত রাতে মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে।”
পুলিশের পদক্ষেপে সন্তুষ্ট হয়ে তিনি পরে আরেক পোস্টে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের প্রশংসা করেন।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)