বুধবার সকাল ৯টায় তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার নিচে।
Published : 06 Oct 2023, 02:14 AM
ভারতে উত্তর সিকিমে তুমুল বৃষ্টিতে দেশের উজানে তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। ফলে উত্তরাঞ্চলের লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় আকস্মিক বন্যার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
তিস্তা নদীর ডালিয়া ও কাউনিয়া পয়েন্টে বুধবার সকালে পানি বিপৎসীমার নিচে থাকলেও উজানের ঢলে পানি দ্রুত বাড়ায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় তীরবর্তী এলাকা 'প্লাবিত হতে পারে' বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকারণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রহমান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, "ভারতীয় সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর 'চুংথাং ড্যাম' ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে উজানে তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। গজলডোবা পয়েন্টে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে ২৮৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে এবং দোমুহনী পয়েন্টে ৮২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বাড়ার এ প্রবণতা অব্যাহত থাকবে।"
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকারণ কেন্দ্রের এই নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, বুধবার সকাল ৯টায় তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল বিপদসীমার ৮০ সেন্টিমিটার নিচে।
“এটা বাড়তে পারে এবং বিকাল নাগাদ বিপৎসীমা অতিক্রম করে মধ্যরাত পর্যন্ত বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হতে পারে।”
সকাল ৯টায় তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে পানি ছিল বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার নিচে। বৃহস্পতিবার ভোর নাগাদ তা বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে প্রকৌশলী উদয় রহমান জানান।
"এতে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা জেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলো প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।"
তিনি জানান, ভারতের সিকিম অঞ্চলে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারি বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে। এতে তিস্তা নদীর বন্যা পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।
প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছিল ৪ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে: