শুক্রবার বাংলাদেশের সব মসজিদে ফিলিস্তিনীদের জন্য দোয়া পড়ানো হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী
Published : 18 Oct 2023, 09:09 PM
বাংলাদেশ সব সময় ফিলিস্তিনের পাশে আছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার রাতে গণভবনে মুসলিম দেশগুলোর জোট ওআইসিভুক্ত ১৪টি দেশের রাষ্ট্রদূতরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি বাংলাদেশের এই অবস্থানের কথা তুলে ধরেন।
সাক্ষাতে ঢাকায় ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত এস ওয়াই রামাদানও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, জরুরি ভিত্তিতে ফিলিস্তিনিদের জন্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অসুস্থ মানুষের জন্য ওষুধসহ চিকিৎসা সামগ্রী পাঠানোর নির্দেশও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেছেন, "কোন পথে ওষুধ পাঠানো হবে এখনো সেটা ক্লিয়ার না, তবে আমরা পাঠাব।”
আগামী শুক্রবার বাংলাদেশের সব মসজিদে ফিলিস্তিনীদের জন্য দোয়া পড়ানো হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, "ফিলিস্তিনের হাসপাতালে যে অ্যাটাক করেছে, সেখানে বহু শিশু এবং নারী মারা গেছে। সে সম্পর্কে তারা (১৪ দেশের রাষ্ট্রদূতরা) তাদের বক্তব্য তুলে ধরছেন। ফিলিস্তিনিদের ব্যাপারে বাংলাদেশের যে সমর্থন আছে, সেই সমর্থন যাতে অব্যাহত থাকে, অন্যান্য যে আন্তর্জাতিক সমর্থনগুলো আছে সেগুলোর আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তারা।
“প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই ধরনের সহিংসতা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার। হাসপাতালের উপর যে হামলা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি।”
প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে সচিব বলেন, শিগগির একটি শোক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। মন্ত্রিসভার মাধ্যমে সেটি জানানো হবে।
"প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন যে, সমস্যা মূল যে কারণগুলো রয়েছে, এগুলো বের করে বিশ্বসম্প্রদায়কে একটা সমাধানের পথ বের করতে হবে। তার জন্য দরকার মুসলিম উম্মাহর ঐক্য। ঐক্য হলে ফিলিস্তিনিদের অধিকার নিশ্চিত হবে।”
সচিব বলেন, “আমরা সবসময় তাদের পাশে ছিলাম, আমরা তাদের পাশে থাকব। এবারও আমরা ওষুধ এবং জরুরি সামগ্রী পাঠাব।”
এর আগে বিকেলে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শেখ রাসেল দিবসের এক আলোচনায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকও গাজায় ওষুধ পাঠানোর নির্দেশের কথা জানান।
তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনের জনগণের কষ্ট বোঝেন, ইসরাইলের হামলায় হতাহত নারী-শিশুদের বেদনা অনুভব করছেন। নিজের জীবনের হতাহতের ক্ষত থেকে তিনি ফিলিস্তিনের স্বজন হারানোদের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলছেন।”
সকালে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানেও ইসরায়েল ফিলিস্তিন সংঘাত নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
গাজার হাসপাতালে বোমা হামলারও নিন্দা জানিয়ে তিনি মানবজাতির কল্যাণে যুদ্ধ ও অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধের জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বানও জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা গতকাল গাজার হাসপাতালে বোমা হামলা চালিয়ে মানুষ ও শিশুদের হত্যা এবং শিশুদের রক্তমাখা মুখ দেখেছি।
“যুদ্ধ এবং অস্ত্র প্রতিযোগিতা কখনই মানবজাতির জন্য ধ্বংসের পরিবর্তে কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। যুদ্ধে নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অস্ত্র প্রতিযোগিতার অর্থ সারাবিশ্বের শিশুদের কল্যাণে ব্যয় করা হোক।”