শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ‘পুনঃপ্রতিষ্ঠা’ হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী

“তিনি দেশে ফিরে এসেছিলেন বলেই বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আবারও জাগ্রত হয়েছিল, এখনও জাগ্রত আছে,” বলেন মুনতাসীর মামুন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 May 2023, 06:36 PM
Updated : 20 May 2023, 06:36 PM

চার দশক আগে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ‘পুনঃপ্রতিষ্ঠা’ হয়েছে বলে মনে করেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেছেন, “১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মাধ্যমে ঘাতকেরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে এদেশ থেকে নির্বাসিত করেছিল। ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরায় প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।”

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত ‘আপনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, আমাদের ফিরিয়ে দিয়েছে বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন ও শান্তির দর্শন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “১৯৮১ সালের ১৭ মার্চ তিনি (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশে ফিরে না এলে আজকের বাংলাদেশ আমরা পেতাম কি না- সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নীতিকে ধারণ করে দেশকে বর্তমানে বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন।

“আজকেও বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। দেশে নাকি নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। বাংলাদেশে নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। নির্বাচনের সকল দায়দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। এই সময় সরকার শুধু রুটিন কাজ করবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সব প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী চলবে।”

অনুষ্ঠানে মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন।

তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা যখন দেশে ফিরে এলেন, তখন রাজনীতিতে যুক্ত না থাকলেও এটা বুঝেছিলাম মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের চাকা আবারও চলবে। তিনি দেশে ফিরে এসেছিলেন বলেই বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আবারও জাগ্রত হয়েছিল, এখনও জাগ্রত আছে।”

বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেন, সমুন্নত রেখে রাজনীতি করে যাচ্ছেন। সে কারণেই তিনি ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশে ফিরে প্রথম বক্তৃতায় বলেছিলেন, ‘আমি আপনাদের সামরিক শাসন থেকে মুক্তি দিতে এসেছি, আওয়ামী লীগের সভাপতি হতে আসিনি।’ নানা চড়াই-উতরাই পার হয়ে শেখ হাসিনা সেই পথে হেঁটে যাচ্ছেন।”

বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বক্তব্য দেন।