ট্রেনের আগাম টিকেট: দ্বিতীয় দিনের টিকেট শেষ আধা ঘণ্টায়

আগামী ৫ ও ৬ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটি, সেজন্য অনেকে ৪ তারিখেই বাড়ির পথ ধরতে চাইছেন।  

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 March 2024, 05:06 AM
Updated : 25 March 2024, 05:06 AM

রোজার ঈদ সামনে রেখে ট্রেনের আগাম টিকেট বিক্রিতে প্রথম দিনের তুলনায় দ্বিতীয় দিনে চাহিদা বেড়েছে।

সোমবার বিক্রি হচ্ছে ৪ এপ্রিল ট্রেন যাত্রার টিকেট; সকাল ৮টায় অনলাইনে টিকেট বিক্রি শুরুর ত্রিশ মিনিটের মধ্যে পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন রুটের প্রায় সব ট্রেনের টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে; কিছু ট্রেনের বিক্রি হয়েছে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে।

দুপুর ২টায় পুর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকেট বিক্রির জন্য অনলাইনে ছাড়া হবে।

আগামী ১১ এপ্রিল ঈদ হবে ধরে নিয়ে এবারের ঈদযাত্রার সূচি সাজিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। রোববার থেকে আগাম টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে, যা চলবে ৩০ মার্চ পর্যন্ত।

চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিলের টিকেট বিক্রি করা হবে বলে বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে।

রোববার সকালে টিকেট বিক্রি শুরু হয়ে বেলা ১০টার পরও কয়েকটি ট্রেনের কিছু আসন ফাঁকা ছিল। তবে সোমবার দেখা গেছে অন্যচিত্র।

কমলাপুর স্টেশনের ব্যবস্থাপক মো. মাসুদ সারওয়ার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সোমবার টিকেটের চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে। আগামী ৪ তারিখ বৃহস্পতিবার এবং ৫, ৬ সাপ্তাহিক ছুটি। সেজন্য ঈদের আগেই অনেকে বাড়ি চলে যাবেন। তাই ৪ তারিখের টিকেটের ব্যাপক চাহিদা। কিছু ট্রেনের টিকেটে বিক্রি শুরুর ১৫ মিনিটের মধ্যেই শেষ হয় গেছে।”

বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েসসাইট পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, সকাল সাড়ে ৮টায় রাজশাহীগামী বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের শোভন চেয়ার শ্রেণির ৬টি আসন ‘অ্যাভেইলেবল’ দেখাচ্ছিল। তবে ওই টিকেট কেনার জন্য পরের ধাপে গিয়ে দেখা গেছে সব টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে।

ওই সময় পর্যন্ত সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরার একটি, শোভন চেয়ারের তিনটি আসন ফাঁকা দেখায়। তবে পরের ধাপে গিয়ে দেখা যায় সেগুলোও বিক্রি হয়ে গেছে।

সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মধুমতি এক্সপ্রেসের স্নিগ্ধা শ্রেণির তিনটি, শোভন চেয়ার শ্রেণির একটি এবং পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের শোভন চেয়ার শ্রেণির দশটি আসন ‘অ্যাভেইলেবল’ দেখাচ্ছিল। তবে টিকেট কেনার জন্য পরের ধাপে গিয়ে ওইসব টিকেটও আর পাওয়া যায়নি।

ওয়েবসাইেট গিয়ে দেখা গেছে, সাড়ে ৮টার মধ্যেই রংপুর এক্সপ্রেস, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস, চিলাহাটি এক্সপ্রেস, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনের সব টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে। একই চিত্র দেখা গেছে নীলসাগর এক্সপ্রেস এবং লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনের ক্ষেত্রেও।

খুলনা রুটের সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের এসি সিট শ্রেণির দুটি, শোভন চেয়ার শ্রেণির ছয়টি এবং স্নিগ্ধা শ্রেণির চারটি টিকেট অবিক্রিত দেখাচ্ছিল সকাল সাড়ে ৮টায়। তবে ‘বুক নাউ’ অপশনে গিয়ে টিকেট কাটতে গেলে দেখা যায় সেগুলোও বিক্রি হয়ে গেছে।

ওই সময় পর্যন্ত খুলনার চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের স্নিগ্ধা শ্রেণির তিনটি, শোভন চেয়ার শ্রেণির ২৬টি আসন ‘অ্যাভেইলেবল’ ছিল। বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের কোনো টিকেট ছিল না বেলা সাড়ে ৮টায়।

রেল কর্তৃপক্ষের টিকেট বিক্রির সূচি অনুযায়ী ২৬ মার্চ পাওয়া যাবে ৫ এপ্রিলের টিকেট। এরপর ২৭ মার্চ ৬ এপ্রিলের, ২৮ মার্চ ৭ এপ্রিলের, ২৯ মার্চ ৮ এপ্রিলের এবং ৩০ মার্চ ৯ এপ্রিলের টিকেট বিক্রি হবে।

ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হবে ৩ এপ্রিল। ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকেট মিলবে।

এবারও ঈদযাত্রার শতভাগ টিকেট বিক্রি হচ্ছে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে। বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট, রেল সেবা অ্যাপ ও সহজ ডটকমের প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকেট সংগ্রহ করা যাবে।

ঈদের আগে সারাদেশের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী আন্তঃনগর ট্রেনের ৩৩ হাজার ৫০০টি টিকেট বিক্রি হবে।

ঈদ উপলক্ষে সারাদেশের বিভিন্ন রুটে আট জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে বলে রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। 

পুরনো খবর

Also Read: ঈদের ট্রেনের আগাম টিকেট বিক্রি শুরু