অবরোধের সকালে ঢাকা সদরঘাট ছিল অনেকটাই ফাঁকা। অল্প কজন যাত্রী নিয়েই দক্ষিণের পথে ছেড়ে গেছে লঞ্চগুলো।
Published : 05 Nov 2023, 10:23 AM
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর ডাকা দ্বিতীয় দফা অবরোধের প্রথমদিন রাজধানীর সদরঘাট থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের পথে লঞ্চ চলাচল করলেও যাত্রী তেমন নেই।
রোববার সকালে সদরঘাটে গিয়ে দেখা যায়, লঞ্চঘাট কার্যত ফাঁকা। অল্প কজন যাত্রী নিয়েই চাঁদপুর, ভোলা ও বরিশালের পথে ছেড়ে গেছে লঞ্চগুলো।
যাত্রী না পাওয়ার কারণে সকালে শিডিউলের পাঁচটি লঞ্চ ছেড়ে যেতে পারেনি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পরিবহন পরিদর্শক এবিএস মাহমুদ।
তিনি জানান, সকাল থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে ইমাম হাসান-৫, এমভি রহমান, সোনার তরী-২, বোগদাদীয়া-৮। ভোলার ইলিশার পথে ছেড়ে গেছে দোয়েল পাখি-১০, কর্ণফুলী-১৪ লঞ্চ। আর বরিশালের মৃধারহাটের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে ঝাণ্ডা-২ লঞ্চ।
এছাড়া শরীয়তপুরের নড়িয়া ও হাটুরিয়ার দিকে ছেড়ে যায় সুরেশ্বর-১ ও বোগদাদীয়া-৬ লঞ্চ। আর ভোলার হাকিম উদ্দিন লঞ্চঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায় টিপু-৬।
জাতীয় নির্বাচনের আগে আগে গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশ পণ্ড ও সংঘর্ষের পরদিন হরতাল ডাকে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। এরপর ৩১ অক্টোবর এবং ১ ও ২ নভেম্বর ডাকে অবরোধের কর্মসূচি।
প্রথম দফা অবরোধের তিন দিনে রাজধানীতে মানুষ ও যানবাহনের চলাচল ছিল সীমিত। নির্বাচনের আগ দিয়ে এমন কর্মসূচি ঘিরে স্বাভাবিকভাবে শঙ্কা রয়েছে জনমনে। প্রথম দফার ওই অবরোধে ঢাকাসহ সারাদেশে ৩১টি যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়। প্রাণ যায় তিনজনের।
মাঝে শুক্র ও শনিবার ছুটির দিনে রাজধানীতে বাড়ে চলাচল। তবে রোববার থেকে ফের অবরোধ শুরুর আগেই রাতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ১১টি যানবাহনে আগুন দেওয়ার খবর এসেছে। যার প্রভাব পড়েছে বিভিন্ন গন্তব্যে ছোটা মানুষের চলাচলেও।
অবরোধের আগের দিন শনিবারও সদরঘাটে লঞ্চ চলাচল ছিল স্বাভাবিক। এদিন সদরঘাট থেকে ৬১টি লঞ্চ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের পথে ছেড়ে যায়। আর অন্যান্য গন্তব্য থেকে ঢাকায় ভিড়েছে ৬৩টি লঞ্চ। কিন্তু রোববার সকালেই দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। সদরঘাট থেকে শিডিউল অনুযায়ী অনেক লঞ্চ ছেড়ে গেলেও রয়েছে যাত্রী নেই বললেই চলে।
নৌপথের যাত্রা নিরাপদ রাখতে নৌপুলিশ সার্বক্ষণিক নদীতে টহল দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন সদরঘাট নৌ-থানার ওসি আবুল কালাম।