“আমরা টিকেটের ভাড়া বাড়াচ্ছি না। রেয়াত সুবিধা প্রত্যাহারের চিন্তা ভাবনা চলছে, তবে সেটা এখনই নয়, পরে,” বলছেন মন্ত্রী জিল্লুল।
Published : 17 Mar 2024, 10:14 PM
একশ কিলোমিটারের বেশি যাত্রায় রেলের যে রেয়াতি সুবিধা আছে তা প্রত্যাহার করা হবে কি না সে বিষয়ে আগামী এপ্রিলে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানিয়েছেন মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জিজ্ঞাসায় তিনি বলেছেন, “রেয়াতি সুবিধা তো দূরত্ব বিবেচনা করে একেক রকম, ২০-৩০ শতাংশ পর্যন্ত রয়েছে। রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। এপ্রিলে আমরা বসে সিদ্ধান্ত নেব।”
এক প্রশ্নে রোববার রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেছেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে রেয়াতি সুবিধা থাকার যুক্তি নেই। এটি প্রত্যাহারে চিন্তাভাবনা চলছে।
রেল কর্মকর্তারা বলছেন, রেয়াতি ব্যবস্থার কারণে দূরপাল্লার ট্রেনে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে ছাড় পেয়ে থাকেন যাত্রীরা। এ ব্যবস্থায় ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো ছাড়ের সুবিধা নেই। তবে ১০১ থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরত্বের ভ্রমণে ভাড়ার ওপর রেয়াতের হার ২০ শতাংশ।
আর ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটারের জন্য রেয়াতের হার ২৫ শতাংশ এবং ৪০০ কিলোমিটারের উপর ৩০ শতাংশ রেয়াতি সুবিধা বিদ্যমান।
তবে আয় বাড়াতে আগামী ১ এপ্রিল থেকে রেল কর্তৃপক্ষ এ রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করতে চলেছে বলে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ পেয়েছে। সেটি হলে ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে যাত্রীদের।
এ খবরের পর রেলের নতুন মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আভাস দিয়েছেন, ঈদের আগে রেয়াতি প্রত্যাহারের প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা নেই।
রেলের ভাড়ায় দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধা চালু হয় ১৯৯২ সালে। যাত্রী ও মালামাল পরিবহন আকৃষ্ট করতে দূরত্ব ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি সুবিধা চালু করা হয়।
এর মধ্যে সেকশনভিত্তিক রেয়াতি প্রত্যাহার করা হয় ২০১২ সালে। ঢাকা-কক্সবাজার নতুন রুট ছাড়া দেশের সব ট্রেনেই ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের জন্য রেয়াতি সুবিধা বহাল রয়েছে।
জানতে চাইলে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যখন রেয়াতি দেওয়া হয়েছিল, তখন তো রেলে প্যাসেঞ্জার চড়তো না। তখন রেয়াত দিয়ে যাত্রীদের আকর্ষণ করা হত। এখন তো ট্রেনে প্যাসেঞ্জার ওঠে, পর্যাপ্ত যাত্রী ওঠে ট্রেনে।
“আবার আমরাও এখন লোকসানে চলছি। সুতরাং এই মুহূর্তে রেয়াত সুবিধা তো আর রাখার দরকার নেই। আমরা টিকেটের ভাড়া বাড়াচ্ছি না। রেয়াত সুবিধা প্রত্যাহারের চিন্তা ভাবনা চলছে, তবে সেটা এখনই নয়, পরে।”