আলেশা মার্টের চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের সম্পদ অবরুদ্ধ, বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

চারটি ব্যাংক হিসাব থেকে ৪২১ কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ এনে গত ৩১ মে ঢাকার বনানী থানায় এ মামলা করেছিল সিআইডি।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 June 2023, 10:54 AM
Updated : 21 June 2023, 10:54 AM

অর্থ পাচার মামলায় ই-কমার্স কোম্পানি আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর আলম শিকদারসহ চারজনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তাদের সম্পত্তি অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

ঢাকা মহানগরের দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান বুধবার এ আদেশ দেন বলে অতিরিক্ত পিপি তাপস কুমার পাল জানান।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির ফাইনান্সিয়াল ক্রাইমের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. মনিরুজ্জামান এদিন আসামিদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারির পাশাপাশি তাদের সম্পত্তি ‘ফ্রিজ’ করার ওই আবেদন করেন।

বাকি তিনজন হলেন– মঞ্জুর আলমের স্ত্রী সাদিয়া চৌধুরী, আবুল কাশেম এবং মোটরসাইকেল সরবরাহকারক মো. আল মামুন; তারা সবাই পলাতক।

গত ৩১ মে সিআইডি কর্মকর্তা আল মামুন ঢাকার বনানী থানায় এ মামলা করেন। এজাহারে বলা হয়, গ্রাহকের টাকায় আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকায় প্রায় দুই হাজার শতক জমি কিনেছেন। যার আনুমানিক মূল্য দেখানো হয়েছে ২১ কোটি টাকা।

এর আগে চেক প্রতারণার এক মামলায় মঞ্জুরুল আলমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল আদালত।

২০২০ সালের ২৬ জুলাই আলেশা মার্ট যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তর থেকে নিবন্ধন পায়। একই বছরের ১০ নভেম্বর ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে ট্রেড লাইলেন্স নেয়। পরের বছরের ৭ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে আলেশা মার্টের যাত্রা শুরু হয়।

যাত্রা শুরুর পরপরই কম মূল্যে মোটরসাইকেল ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পণ্য দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নেয় কোম্পানিটি; তবে বহু গ্রাহককে পণ্য না দিয়ে কিংবা টাকা ফেরত না দিয়ে ই-কমার্স ব্যবসার আড়ালে প্রতারণার মাধ্যমে তারা অর্থ পাচার (মানি লন্ডারিং) করে আসছিল বলে সিআইডির দাবি।

সিআইডি বলছে, চারটি বেসরকারি ব্যাংকে আলেশা মার্টের চারটি ব্যাংক হিসাব থেকে ৪২১ কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

আলেশা মার্টের সহযোগী প্রতিষ্ঠান আলেশা হোল্ডিংস লিমিটেড, আলেশা টেক লিমিটেড, আলেশা এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট লিমিটেড, আলেশা কার্ড লিমিটেড, আলেশা রাইড লিমিটেড, আলেশা ফার্মেসি লিমিটেড, আলেশা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সার্ভিস লিমিটেড, আলেশা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড ও আলেশা অ্যাগ্রো লিমিটেডের ব্যাংক হিসাবে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে সিআইডির ভাষ্য।

মঞ্জুরুল আলমের ২০২০-২০২১ অর্থবছরের আয়কর বিবরণীর তথ্য তুলে ধরে সিআইডি মামলায় জানায়, বেতন ও ভাতা মিলে মঞ্জুরের আয় ছিল মাত্র ১৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। অথচ মাত্র সাত মাসের ব্যবধানে আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম ও তার কোম্পানির নামে ৩১ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদ কেনা হয়েছে। ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে ২৫ অগাস্টের মধ্যে এই সম্পদ কেনা হয়।

পুরনো খবর

Also Read: আলেশা মার্ট চেয়ারম্যান মঞ্জুরুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা