“আশা করি এক বছরের মধ্যে ৭০০ থেকে ৮০০ কোচ এবং ইঞ্জিন আমদানি করে ট্রেনে যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের সক্ষমতা বাড়াতে পারব.” বলেন মন্ত্রী।
Published : 03 Apr 2024, 06:42 PM
যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের সক্ষমতা বাড়াতে আগামী এক বছরের মধ্যে ৭০০-৮০০ কোচ ও লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) বাংলাদেশ রেলওয়ের বহরে যুক্ত করার কথা জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম।
তিনি বলেছেন, “রেলওয়ে ইতোমধ্যে ২০০ বগি আমদানির অনুমতি পেয়েছে। রেলের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কোচ আমদানি করা হচ্ছে। লোকোমোটিভ আমদানির ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা ২০০ বগি আমদানির জন্য অনুমোদন পেয়েছি।
“আশা করি এক বছরের মধ্যে ৭০০ থেকে ৮০০ কোচ এবং ইঞ্জিন আমদানি করে ট্রেনে যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের সক্ষমতা বাড়াতে পারব।”
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগাম টিকেটে ঈদযাত্রার প্রথম দিন বুধবার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন করে এ একথা বলেন মন্ত্রী।
ঈদযাত্রা ঘিরে কমলাপুর স্টেশনে ঢোকার মুখেই বাঁশ দিয়ে কয়েকটি প্রবেশপথ বানানো হয়েছে। বুধবার সেখানে হাতে টিকেট পরীক্ষা করার মেশিন নিয়ে দাঁড়িয়ে টিটিই কর্মকর্তারা। তাদের ওই মেশিনে টিকেট স্ক্যান করার পর তবেই যাত্রীরা ঢুকতে পারছেন প্ল্যাটফর্মে।
মন্ত্রী বলেন, “এবার যাত্রীরা যেন ঈদে নিরাপদে বাড়িতে যেতে পারে, সেজন্য রেলপথ মন্ত্রণালয় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। আমরা ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর ব্যবস্থা করেছি। বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছি।
“যারা আসন পাবেন না তারা যেন অন্তত দাঁড়িয়ে যেতে পারেন, সেজন্য আলাদা টিকেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঈদে যত লোক বাড়িতে যাবে, তাদের সবাইকে তো আমাদের পক্ষে পাঠানো সম্ভব নয়।”
গত ২৪ মার্চ থেকে ঈদে ঘরমুখো মানুষের জন্য অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু করে রেল। ওই দিন দেওয়া হয়েছিল বুধবারের টিকেট। ঈদ ঘিরে টিকেট কালোবাজারি ঠেকাতে এবার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান রেলমন্ত্রী।
সংবাদমাধ্যমে রেলের দুর্নীতির খবরের বিষয়ে জানতে চাইলে জিল্লুল হাকিম বলেন, “কোনো সংস্থাই চায় না সেই সংস্থার মধ্যে দুর্নীতি থাকুক। কেনাকাটায় সব জায়গাতেই কিছু না কিছু...; অনেক বড় বড় জায়গায়ও (দুর্নীতি) হয়ে থাকে। সেই ক্ষেত্রে রেল অনেক ছোট জায়গা।
“অনেক নামীদামি জায়গাতেও ক্রয়ের ক্ষেত্রে কিছুটা দুর্নীতি থাকে। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি যেন আমাদের রেলে কোনো ধরনের এরকম কিছু না থাকে। আমরা চেষ্টা করব সব রকম দুর্নীতি বন্ধ করতে।”