Published : 07 Dec 2022, 09:11 PM
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালাতে পুলিশকে ‘বাধ্য করা হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।
বুধবার রাত ৮টায় অভিযানের শেষ পর্যায়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশের উপর ‘বোমা মারায়’ বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালাতে তারা বাধ্য হয়েছেন।
“পুলিশের সাথে যখন ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া চলে, তখন বিএনপি কার্যালয়ের তিনতলা থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা মারা হয়।”
বিপ্লব কুমার সরকারের নেতৃত্বেই বিকাল ৪টা থেকে নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয় ঘিরে রেখে অভিযান চলে। অভিযানের সময় কার্যালয়ের ভেতরে কয়েকটি বোমা পাওয়ার কথা বলেন তিনি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “যারা বোমা মেরেছে, যারা উসকানিদাতা, যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে- তারা সন্ত্রাসী। এদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ সামনে রেখে বিএনপিকর্মীরা বুধবার সকাল থেকে নয়াপল্টনে জড়ো হতে শুরু করেন। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন তারা। এক পর্যায়ে বিকাল ৩টার দিকে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ লেগে যায়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার মো. হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপির সমাবেশের স্থান এখনো নির্ধারণ হয়নি, কিন্তু তাদের কর্মীরা বুধবারই নয়া পল্টন পার্টি অফিসের সামনে উভয় পাশের রাস্তা বন্ধ করে দেয়।
“বারবার অনুরোধ করার পরও রাস্তা ছেড়ে দেয়নি। পরে তাদেরকে ওঠাতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এভাবেই সংঘর্ষের ঘটনা।”
পরে ছররা গুলি আর টিয়ারশেল ছুড়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সোয়াট সদস্যদেরও ঘটনাস্থলে দেখা যায়।
বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বিএনপি অফিস ঘিরে ফেলে ভেতরে অভিযান শুরু করে পুলিশ। পরে ভেতরে থাকা কর্মীদের ধরে ধরে প্রিজন ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়া হয়।
কতজনকে আটক করা হয়েছে জানতে চাইলে তাৎক্ষণিক জবাব না দিয়ে বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, “এ ব্যাপারে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।”
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, পুলিশই ‘বাজারের ব্যাগে বোমা’ নিয়ে বিএনপি কার্যালয়ে ঢুকেছে।
এ বিষয় জানতে চাইলে বিপ্লব কুমার সরকার জানান, তারা অভিযান চালাতে গিয়ে বোমা পেয়েছেন। এ ব্যাপারে কে কী বললো পুলিশের কিছু ‘যায় আসে না’।
আরও পড়ুন