“তাদের জন্য যদি মাঝে মাঝে বিশ্রামের জন্য যদি একটু জায়গা করে দেন…।”
Published : 01 Feb 2024, 03:41 PM
যানজটের নগরী ঢাকায় সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের দুদণ্ড বিশ্রামের জন্য দুই সিটির মেয়রের কাছে জায়গা চেয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেছেন, “ট্রাফিক সার্জেন্টরা ভয়ানক অসুবিধায় থাকে। তাদের জন্য যদি মাঝে মাঝে বিশ্রামের জন্য যদি একটু জায়গা করে দেন…।”
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ৪৮ বছর পূর্তি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজারবাগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ট্রাফিক পুলিশের জন্য ওই ব্যবস্থাটুকু করা হলে “ডিএমপি আরও এগিয়ে যাবে, তাদের সেবার পরিধি বাড়বে। আরও দক্ষতার সঙ্গে সবকিছু মোকাবিলা করবে, এই আস্থা ও বিশ্বাস রাখি।”
এর আগে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, “ডিএনসিসির আওতায় প্রত্যেকটি পুলিশ বক্সে টয়লেট, পানি ও বসার জন্য ব্যবস্থা করা হবে। পুলিশ বক্স করার জন্য ১০ কোটি টাকা বাজেট করা হয়েছে। আমরা প্রত্যেকটি পুলিশ বক্স আধুনিক করে দেব।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ৫০টি থানা, ৩৪ হাজার জনবল নিয়ে ঢাকায় বসবাস করা নগরবাসীর নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাচ্ছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। বাংলাদেশ পুলিশের মোট জনবল দুই লাখ ১০ হাজারের বেশি। প্রতিটি পুলিশের ওপর গড়ে ৮২৫ জনকে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব থাকছে।
“ডিএমপির যতগুলো ইউনিট আছে, সবগুলো সুন্দরভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছিল সেজন্য আমরা কাউন্টার টেররিজম ইউনিট গঠন করি। আমরা সাইবার ইউনিট তৈরি করেছি, ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টার গড়ে তুলেছি ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য ট্রাফিক ইউনিট করেছি যা ডিএমপি কমিশনারের অধীনে কাজ করে যাচ্ছে।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বিশ বছর আগে পুলিশের কথা যদি চিন্তা করি, সেই সময় মানুষ পুলিশকে ভয় পেত। আজকে পুলিশের ওপর আস্থা, বিশ্বাস রাখছে, কোনো প্রয়োজন হলে মানুষ পুলিশের কাছে যাচ্ছে।
“কোভিডের সময় আপনারা দেখেছেন মায়ের মরদেহ সন্তান ফেলে রেখে গেছে। পুলিশই তাদের শেষ কাজটি করেছে। কাজেই পুলিশ এমনই একটি আস্থার জায়গায় এসেছে, আমরা মনে করি বিপদে-আপদে সব সময় আমাদের পাশে আছে। ডিএমপিও সেই কাজটিই করছে ঢাকা নগরীর জন্য।”