বইমেলায় নিরাপত্তা হুমকি দেখছেন না ডিএমপি কমিশনার

“মেলায় সাইবার মনিটরিংও হচ্ছে। উসকানিমূলক কোনো প্রকাশনা যাতে না হয়, সেটাও নজরদারিতে আছে।”

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Jan 2023, 09:36 AM
Updated : 31 Jan 2023, 09:36 AM

অমর একুশের বইমেলায় কোনো ধরনের নিরাপত্তা হুমকি দেখছেন না দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তাব্যক্তিরা। তবে ‘আত্মতুষ্টিতে’ না ভুগে অতীতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে মেলায় ‘পর্যাপ্ত’ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

তিনি বলেছেন, “বইমেলায় কোনো ধরনের নিরাপত্তার হুমকি নেই, জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই। তবে আমরা এ নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না। অতীতের মত অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সেজন্য সতর্ক থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আর সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।“

মঙ্গলবার সকালে বইমেলায় সার্বিক নিরাপত্তা প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ শেষে মেলার মাঠে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন গোলাম ফারুক।

মহামারীর দাপট কমে আসায় এবার আর প্রথা ভাঙছে না। তিন বছর বাদে ভাষার মাসের প্রথমদিন থেকেই অমর একুশে বইমেলা শুরু হতে যাচ্ছে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, যেহেতু এবার কোভিড মহামারীর দাপট কম, তাই স্বাভাবিকভাবেই জনসমাগম বেশি হবে। সে বিষয়টি মাথায় রেখে তারা নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজিয়েছেন।

“লেখক-পাঠক ও দর্শনার্থীরা যেন কোনো ধরনের নিরাপত্তার ঝুঁকি মনে না করেন, তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়েছি আমরা। সব স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে মিটিং করেছি সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

নিরাপত্তা ব্যবস্থার সার্বিক দিক সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন,  নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে তিন স্তরের। সমস্ত বইমেলা এলাকা- শাহবাগ ও পলাশী এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। বিশেষ ও ছুটির দিনের ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট দিয়ে গাড়ি প্রবেশের ব্যবস্থা থাকবে।

সবার সহযোগিতায় মেলা ‘সুষ্ঠভাবে’ চলবে আশা প্রকাশ করে ঢাকার পুলিশ প্রধান বলেন, “মেলায় সাইবার মনিটরিংও হচ্ছে। উসকানিমূলক কোনো প্রকাশনা যাতে না হয়, সেটাও নজরদারিতে আছে।”

বুধবার বিকাল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেলা উদ্বোধন করবেন। এর দুই ঘণ্টা পর বিকাল ৫টায় মেলার দুয়ার খুলবে সবার জন্য; যা চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

সপ্তাহে রবি থেকে বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় মেলার দরজা খুলবে, চলবে রাত নয়টা পর্যন্ত। এছাড়া শুক্র ও শনিবার ‘শিশু প্রহর’র জন্য মেলার সময়সীমা হবে সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা।

বাংলা একডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের একটি অংশজুড়ে বসছে বইমেলা।পুস্তক ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন রাত ১০টার পর থেকে সকাল ৭টার মধ্যে মেলায় বই প্রবেশ করাতে পারবেন।

২০২০ সালে মেলা শুরু হয়েছিল একদিন পিছিয়ে। প্রতিবছর ১ ফেব্রুয়ারি পর্দা উঠলেও ওইবার ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে ভোট থাকায় তা একদিন পিছিয়েছিল।

করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতাকে গুরুত্ব দিয়ে ২০২১ সালে মেলা শুরু হয় মার্চে; আর ২০২২ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্দা ওঠে বইমেলার।