শিক্ষার্থীর চাপ, শিক্ষক সংকট এবং শিক্ষা সহায়ক উপকরণ, প্রশিক্ষণ ও বাজেট ঘাটতিসহ নানা সমস্যার কথা এসেছে শিক্ষকদের কথায়।
Published : 16 Sep 2022, 01:04 AM
ক্লাসে এখন ‘অন্যরকম ভালোলাগা’ খুঁজে পাচ্ছে ঢাকার সহজপাঠ উচ্চ বিদ্যালয়ের দীপ্র নিশান্ত।
ষষ্ঠ শ্রেণির এই শিক্ষার্থী বলছে, নতুন শিক্ষাক্রমে আইসিটি, বিজ্ঞানের মত বিষয়ে ‘ক্রিয়েটিভ কাজ’ বেশি করতে হচ্ছে। সব সময় বই নিয়ে বসে থাকতে হচ্ছে না। পরীক্ষার ভয়ও এখন নেই।
“নতুন সিস্টেম, আমরা খুব ভয়ে ছিলাম। কিন্তু পরে দেখলাম, অনেক মজা লাগছে পড়তে। বন্ধুরা মিলে একসাথে কাজ করি, প্রজেক্ট তৈরি করি।”
দীপ্রদের ওই আনন্দ অবশ্য অভিভাবকদের সবাইকে আশ্বস্ত করতে পারছে না। নতুন শিক্ষাক্রমের পরীক্ষামূলক বাস্তবায়ন নিয়ে ধানমন্ডির গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের শিক্ষার্থী মাহমুদ হাসানের মা ফাতেমা জান্নাতের কথায় মিললো উদ্বেগের সুর।
তিনি বললেন, ড্রইং করা, ঘর বা নৌকা বানানোর মত একই ধরনের কাজ ছেলেমেয়েরা ঘুরেফিরে করছে। প্র্যাকটিক্যাল কাজের ধারণা নেওয়ার কথা বলে ডিভাইসে আসক্ত হয়ে পড়ছে। গণিত, ইংরেজির মত মৌলিক বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিচ্ছে না।
“পরীক্ষা থাকলে একটা চিন্তা থাকে, তখন ওরা পড়াশোনা করত। এখন তো সেটাও নাই।”
শিক্ষকদের মধ্যে এরকম সংশয় না থাকলেও শিক্ষার্থীর চাপ, শিক্ষক সংকট এবং শিক্ষা সহায়ক উপকরণ, প্রশিক্ষণ ও বাজেট ঘাটতিসহ নানা সমস্যার কথা তারা বলছেন।
কিছু সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা বললেন, পরীক্ষামূলক পর্যায়ে অনেক সমস্যাই বেরিয়ে আসবে, সেগুলোর সমাধান করেই তারা এগোতে চান।
নতুন শিক্ষাক্রমে কী হচ্ছে
২০২৫ সালে সম্পূর্ণ নতুন পাঠক্রমে পড়বে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় একে ‘অভিজ্ঞতাভিত্তিক শেখার মাধ্যমে পাঠ প্রক্রিয়াকে আনন্দময় করার উদ্যোগ’ বলছে।
শিক্ষার্থীদের পাঠগ্রহণকে যুগোপযোগী, কার্যকর এবং আনন্দময় করতেই তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা না রাখা, এসএসসির আগে পাবলিক পরীক্ষা না নেওয়া, নবম-দশম শ্রেণিতে বিভাগভিত্তিক বিভাজন তুলে দেওয়াসহ একগুচ্ছ পরিবর্তন আনা হয়েছে শিক্ষাক্রমে।
চাপ কমাতে বছর শেষে সামষ্টিক মূল্যায়নের আগে শিক্ষাবর্ষ জুড়ে চলবে শিখনকালীন মূল্যায়ন। বেশ কিছু বিষয়ে শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে শতভাগ।
এর আগে ২০১০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতি সামনে রেখে তথ্য-প্রযুক্তিতে গুরুত্ব দিয়ে সৃজনশীল শিক্ষার প্রসারে ২০১২ সালে শিক্ষাক্রম তৈরি করেছিল সরকার। সেসময় সৃজনশীল পদ্ধতি, পিএসসি ও জেডিসি পরীক্ষাসহ নানা বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।
পরীক্ষা ও মুখস্ত নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসতেই সে শিক্ষাক্রমের পরিবর্তে এখন নতুন শিক্ষাক্রমে যাওয়ার কথা বলছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষা ব্যবস্থা প্রায় বদলে দিতে প্রস্তুত করা নতুন শিক্ষাক্রম ২০২৩ সাল থেকে ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে।
তার আগে এ বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পরিবর্তিত শিক্ষাক্রমের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।
এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ২০২৩ সালে দেশের সব প্রাথমিক স্কুলে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি এবং মাধ্যমিকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে চালু হবে নতুন শিক্ষাক্রম।
এরপর ২০২৪ সালে তৃতীয়, চতুর্থ, অষ্টম এবং নবম শ্রেণি যুক্ত হবে নতুন শিক্ষাক্রমের তালিকার। ২০২৫ সালে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সব স্কুল নতুন শিক্ষাক্রমের আওতায় চলে আসবে।
এই শিক্ষাক্রমে কী কী সমস্যা হচ্ছে, তা চিহ্নিত করে শিক্ষক-অভিভাবকদের জানাতে অনুরোধ করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
তিনি বলেছিলেন, “প্রথমে হয়ত কিছু ভুলভ্রান্তি হতে পারে। পাইলটিং শেষ করার আগে সেগুলো সংশোধন সম্ভব হবে।”
এ পর্যন্ত অভিজ্ঞতা কেমন?
রাজধানীর গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলে গিয়ে দেখা গেল, শিক্ষার্থীদের সড়কে নিয়ে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সরাসরি বোঝানোর চেষ্টা করছেন শিক্ষকরা।
ঢাকার নামি এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ শ্রেণির ২৫০ শিক্ষার্থী পড়ে চার সেকশনে। তার মধ্যে ‘সি’ সেকশনের ৬০ জন নতুন শিক্ষাক্রমে পড়ছে। এ পর্যন্ত কোনো পরীক্ষায় বসতে হয়নি তাদের।
মুখস্ত না করে নিজে নিজে শিখতে পারায় নতুন শিক্ষাক্রমে পড়াশোনাকে ‘অনেক আনন্দদায়ক’ হিসেবে দেখছে শিক্ষার্থীরা।
গ্রুপভিত্তিক কাজ করায় পড়াশোনা সহজ হয়েছে জানিয়ে শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান বলল, “পরীক্ষা নেই। টিচারদের বকাঝকাও নেই। আব্বু-আম্মুও আর ওরকম চাপ দিচ্ছে না।”
লালমাটিয়ার সহজপাঠ উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা দলবেঁধে কবিতা পাঠ করে নিজেরাই মূল্যায়ন করছে।
এখন ‘প্র্যাক্টিক্যালি’ শেখা যাচ্ছে জানিয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী অম্বালিকা বণিক বলছিল, “পঞ্চম শ্রেণিতে আমরা শুধু যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগ শিখেছি। এখন সেগুলো সরাসরি করছি। নতুন কিছু জানলে সেটা পোস্টার বা প্রজেক্টের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলছি।”
আরেক শিক্ষার্থী রাদিয়া নূর ন্যায়নার মা সাবেরা হক বলেন, “সে যে পড়াটা নিয়ে বসছে, সেটা শেষ করে উঠছে। পড়াটা সমাধানের জন্য টিচার-বন্ধুদের ফোন করছে। আমার কাছে, ওর বাবার কাছ থেকে জানতে চায়। এনজয় করছে।”
গতানুগতিকের বাইরে এখন ‘প্রত্যাশিত’ পড়ালেখার দেখা মিলছে জানিয়ে দীপ্র নিশান্তের বাবা আর্থার ব্যাপ্টিস্ট বললেন, “ক্রিয়েটিভ কাজগুলো বাড়ছে। একদিনও সে ক্লাসের বাইরে থাকতে চায় না।”
গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের শিক্ষার্থী ইয়াসিন ইসলাম সিয়ামের বাবা শিকদার তৌহিদুল ইসলাম পড়ার চাপ কম থাকা, নতুন বিষয় শেখার সুযোগ, টিউশনের দরকার না হওয়াকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তার ভাবনাতেও ‘কিন্তু’ আছে।
“পরীক্ষা থাকলে আগ্রহটা থাকে; প্রতিযোগিতা হয়, তখন ওরা ভালোভাবে পড়ে। একটা মূল্যায়ন হয়। কিন্তু এখন তো গাছাড়া ভাব।”
শিক্ষকরা বলছেন, আগে বই পড়ে শিক্ষার্থীরা যা জানত, এখন তা শিক্ষা উপকরণ দিয়ে সরাসরি শিখছে, ফলে তাদের জানাটা ‘স্থায়ী’ ভিত পাচ্ছে। শেখার আগ্রহ বাড়ছে, টিউশন নির্ভরতা কমছে।
তবে পাঠ্যবইয়ে আরও কিছু পরিবর্তন আনা, গ্রুপভিত্তিক কাজ কিছু কমিয়ে একক কাজের সুযোগ বাড়ানো, লেখার পরিমাণ একেবারে কমিয়ে না ফেলার তাগিদ দিয়েছেন তারা।
শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের সাথে কথা বলে এনসিটিবির তরফে পাঠ্যবইয়ের সমস্যাগুলো সমাধানের আশ্বাস এসেছে বলে জানালেন গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু সাঈদ ভূঁইয়া।
সমস্যা কম নয়
পরীক্ষামূলক পর্যায়ের সঙ্গে জড়িত শিক্ষকরা বলছেন, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের জন্য বর্তমান শিক্ষা কাঠামো প্রস্তুত নয়।
আবু সাঈদ ভূঁইয়ার কথায়, ক্লাসে ৭০-১০০ জন শিক্ষার্থীকে পড়ানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে, সেজন্য শিক্ষকের সংখ্যা দ্বিগুণ করতে হবে। পর্যাপ্ত শিক্ষা উপকরণ ও শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দরকার।
“শিক্ষার্থীদের ভ্রমণে নিয়ে যেতে হবে, মাছ চাষ শেখাতে খামারে নিতে হবে; কিন্তু আমরা পারছি না। আর্থিক ও নিরাপত্তার বিষয় জড়িত। আমরা হয়ত ভিডিও দেখাতে পারি। কিন্তু গ্রামের স্কুলগুলোতে তো সে অবস্থাও নেই।”
ঢাকার বাইরে নতুন শিক্ষাক্রমের পরীক্ষামূলক বাস্তবায়ন যেসব স্কুলে হচ্ছে, নেত্রকোণার দুর্গাপুরের বিরিশিরি মিশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় তার একটি।
এ স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুরভী মাণ্ডা জানান, বাচ্চারা আগ্রহী হওয়ায় ক্লাসে উপস্থিতি বেড়েছে। তবে হাতে কলমে শেখাতে গিয়ে তারা শিক্ষা উপকরণের ঘাটতির পাশাপাশি আর্থিক সমস্যায় পড়ছেন।
“একেবারে প্রত্যন্ত এলাকা, অভিভাবকদের পক্ষে শিক্ষা উপকরণ বা ভ্রমণে সহায়তা করা সম্ভব না। সরকার সেটি করলে ভাল হত। ক্লাস রুমে গ্রুপ ওয়ার্কগুলো করতে সমস্যা হচ্ছে। বসার যে ব্যবস্থাপনা সেটা দিয়ে হচ্ছে না, পরিবর্তন করা দরকার।
“শিক্ষক বাড়ানো দরকার। ডিজিটাল প্রযুক্তি যে কেউ পড়াতে পারবে না, এর শিক্ষক নেই আমাদের।”
শিক্ষা সামগ্রী ও অবকাঠামোগত সমস্যার কথা জানালেন সাতক্ষীরার বি বি আর এন এস ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উয়ায়েস আলী সিদ্দীকও।
“ক্লাস রুম, ফার্নিচার পরিবর্তন দরকার। মাল্টিমিডিয়া, প্রজেক্টর, বসার ব্যবস্থার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন।”
শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে ক্লাসরুমের ধরনে পরিবর্তন আনা উচিত বলে মনে করেন গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের পাইলটিং শাখার প্রধান শিক্ষক কামরুস সালেহীন।
“ক্লাসের চারদিকে শিক্ষা সহায়ক উপকরণ থাকবে, ওগুলো দিয়ে বাচ্চারা কাজ করবে। নিজেরাই শিখবে। সরকারকে এগুলো সরবরাহ করতে হবে।”
বিজ্ঞানের এই শিক্ষক মনে করেন, এতো দ্রুত শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়নে না গিয়ে পাইলটিংয়ের ফলের ভিত্তিতে আরও পরিবর্তন আনা যেত।
ক্লাস সংখ্যা কমিয়ে ব্যাপ্তি বাড়ানো উচিত বলে মতামত দিলেন প্রতিষ্ঠানটির ডিজিটাল প্রযুক্তির শিক্ষক অশ্রুজিত রায়। তার মতে দৈনিক সাতটির পরিবর্তে চারটি ক্লাস রাখতে হবে। ক্লাসের সময় বাড়িয়ে এক ঘণ্টা করতে হবে।
প্রশিক্ষণ ও শিক্ষক না বাড়ালে পাঠদান কঠিন হবে জানিয়ে এ শিক্ষক বললেন, “সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, শিক্ষকরাই তো প্রস্তুত না। ক্লাসের জন্য প্রস্তুতি দরকার, এখন পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়া শিক্ষকরা পড়াতে পারবেন না।
“আমরা মাধ্যমিকের শিক্ষক, কিন্তু প্রাথমিকেও ক্লাস নিতে হচ্ছে। আগামী বছর প্রথম-দ্বিতীয়, ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণিতে কারিকুলাম শুরু হবে, তখন এতো ক্লাসের লোড নিলে ভালো পড়ানো যাবে না। আমাদের তো প্রাথমিকের ট্রেনিং নেই, তাহলে ক্লাস নেব কীভাবে?”
নতুন শিক্ষাক্রমের গ্রন্থ লেখকদের একজন ও প্রশিক্ষক সিদ্দিক বেলালের পরামর্শ, ক্লাসে শিক্ষার্থীর সংখ্যা চল্লিশের মধ্যে রাখতে হবে, অবকাঠামো উন্নয়ন করতে হবে, শিক্ষক বাড়াতে হবে, প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে শিক্ষা খাতে বাজেট বাড়াতে বলেছেন সহজপাঠ উচ্চ বিদ্যালয়ের এই শিক্ষক।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক মোমেনা বেগম জানালেন, শিক্ষামন্ত্রী পাইলটিং দেখতে স্কুলে এলে তারা সমস্যাগুলো জানিয়ে সমাধানের আশ্বাস পেয়েছেন।
তবে পাইলটিংয়ের ফল অনুযায়ী আগামী বছরই শিক্ষাক্রমে কতটা পরিবর্তন আনা যাবে, তা নিয়ে সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এস এম হাফিজুর রহমান বলেন, “যেসব শিক্ষক পাইলটিংয়ে আছেন, কী ধরনের সমস্যা হচ্ছে, তারা বলতে পারবেন। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে তারা প্রস্তুত কি না, প্রয়োজনীয় শিক্ষক আছে কি না- এ বিষয়গুলো খুব জরুরি।
“শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে নতুন শিক্ষাক্রমে ক্লাস নেওয়ার উপযোগী করাটাও গুরুত্বপূর্ণ। আগামী বছরে কতটুকু পরিবর্তন আনা যাবে জানি না। পরিবর্তন আনাটা কঠিন হয়ে পড়বে।”
ব্যবস্থা ‘নেওয়া হচ্ছে’
শিক্ষক কম থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড-এনসিটিবিও। শিক্ষকদের প্রস্তুত করতে ১৭ ডিসেম্বর থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে প্রশিক্ষণ চলবে।
এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মশিউজ্জামান জানান, আর্ট পেপার, মার্কারের মত প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণের বাজেট দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার।
যেসব স্কুলে মাঠসহ অন্যান্য অবকাঠামোগত সুবিধা নেই, সেখানে এসব উপকরণ দেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
পাইলটিংয়ে ক্লাসে সর্বোচ্চ ৭০ জন রাখতে বলা হয়েছিল জানিয়ে অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, “কিন্তু যখন আগামী বছর থেকে বাস্তবায়ন শুরু হবে, তখন সেটা করা সম্ভব হবে না। পরের বছর থেকে হয়ত আমরা ঠিক করতে পারব। প্রতি পিরিয়ডের সময়সীমা বাড়ানোর চিন্তাভাবনাও আমরা করছি।”
শিক্ষার্থীদের ডিভাইস আসক্তির শঙ্কার বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতন হতে বলেছেন তিনি।
আর শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, শুধু পাইলটিং নয়, পরের বছরগুলোতেও কোনো সমস্যা বেরিয়ে এলে শিক্ষাক্রমে ধারাবাহিকভাবে পরিবর্তন আনা হবে।