ঢাকা মেডিকেলে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চতুর্থ দিনে

হাসপাতালের পরিচালক বলছেন, সব মিলিয়ে প্রায় আড়াই হাজার চিকিৎসক থাকায় চিকিৎসাসেবা স্বাভাবিক রাখতে ‘সমস্যা হচ্ছে না’।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 August 2022, 10:26 AM
Updated : 14 August 2022, 10:26 AM

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় এক ইন্টার্ন চিকিৎসককে মারধরের প্রতিবাদে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চুতর্থ দিনে গড়িয়েছে।

দোষীদের গ্রেপ্তারে ‘দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না হওয়ায়’ কর্মবিরতি অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. মারুফ-উল আহসান শামী।

রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমরা শুধু আশ্বাসই পেয়ে আসছি। কিন্তু দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই।

“এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত কাউকে চিহ্নিত করতে পারেনি। কেউ গ্রেপ্তারও হয়নি। এজন্য আমাদের কর্মবিরতি চলবে।”

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রায় ২০০ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক কাজ করেন। রোববার সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কেউ হাসপাতালে আসেননি। হাসপাতালের নিয়মিত চিকিৎসকরাই রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন।

গত সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরিচয়ে কয়েক যুবক এক ইন্টার্ন চিকিৎসককে মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনার পর ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এবং উপ-পরিচালককে বিষয়টি জানান। তাদের কাছে প্রতিবাদলিপি দিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিচার দাবি করেন।

ঘটনার তদন্ত ও বিচার চেয়ে পরদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং প্রক্টরকেও স্মারকলিপি দেন তারা। এরপর দুদিন পার হয়ে গেলে বৃহস্পতিবার থেকে কর্মবিরতিতে যান ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার মো. নাজমুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘সন্দেহভাজন কয়েকজনকে’ ধরে এনেছিল পুলিশ। তবে ঘটনার শিকার শিক্ষার্থী তাদের কাউকে চিহ্নিত করতে পারছে না।

“পুলিশ সন্দেহভাজন কয়েকজনকে এনে তাকে দেখিয়েছে। কিন্তু সে বলতে পারছে না, কারা তাকে মারধর করেছে। এটা একটা সমস্যা হয়ে গেছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি।”

কর্মবিরতিতে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবায় বিঘ্ন ঘটছে কিনা, সেই প্রশ্নে হাসপাতালের পরিচালক বলেন,“হাসপাতালে সব মিলিয়ে প্রায় আড়াই হাজার চিকিৎসক কাজ করেন। এ কারণে ইন্টার্নরা কর্মবিরতিতে যাওয়ার পরও চিকিৎসাসেবা স্বাভাবিক রাখতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

“তারা আমাদের ভালো সাপোর্ট দেয়। কর্মবিরতিতে থাকায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে আমাদের এখানে বিভিন্ন কোর্স করতে আসা চিকিৎসক, প্রশিক্ষণে আসা চিকিৎসক, অবৈতনিক চিকিৎসক রয়েছেন অনেক। আমরা তাদের কাজে লাগাচ্ছি, ফলে খুব একটা সমস্যা হচ্ছে না।”