এবার ভোটকেন্দ্রের ডেটাবেজ করবে ইসি; স্থানীয় সরকারের ভোটেও তা পরে ব্যবহারের পরিকল্পনার কথা জানালেন এক নির্বাচন কমিশনার।
Published : 28 Aug 2023, 11:14 PM
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এবার ভোটকেন্দ্রের তালিকা করার সময় একক কর্মকর্তার ওপর চাপ এড়াতে এ কাজে যুক্ত ছিলেন বিভিন্ন দপ্তরের স্থানীয় কর্মকর্তারা, গঠন করা হয়েছিল কমিটি; তবুও অভিযোগ এলে শুনানি শেষে তা চূড়ান্ত করবে নির্বাচন কমিশন।
ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত হলে সেটির ডেটাবেজও এবার করে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
সোমবার নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি পরে স্থানীয় সরকারের ভোটেও এ ডেটাবেজ ব্যবহার করা হবে এবং কেন্দ্র হালনাগাদ করা হবে।
ইতোমধ্যে সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৪২ হাজারেরও বেশি ভোটকেন্দ্রের প্রাথমিক তালিকার খসড়া প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
প্রকাশিত খসড়ার উপর দাবি-আপত্তির নেওয়ার শেষ তারিখ ৩১ অগাস্ট; দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির শেষ তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর এবং খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত করতে হবে ১৭ সেপ্টেম্বর।
চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বা আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হবে; নভেম্বরে তফসিল ঘোষণার আভাসও রয়েছে।
ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুতের বিষয়ে নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি এবার খসড়া তালিকা প্রণয়নের সময় ডিসি-এসপি ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ত রাখার যুক্তি তুলে ধরেন নির্বাচন কমিশনার আলমগীর।
তিনি বলেন, “আমরা ভোটকেন্দ্র করার সময় অভিযোগ পাই। একজন কর্মকর্তার ওপর দায়িত্ব দেওয়া থাকলে অনেকেই সেখানে প্রভাব বিস্তাব করে। তারা চাপের মুখে থাকেন। বাস্তবতা হল এ চাপ অতিক্রম করা কঠিন হয়। চাপ সহ্য করতে গেলে অনেক সময় তারা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন।”
এজন্য একক ব্যক্তির উপর যাতে চাপ তৈরি না হয় কিংবা কেউ দিতে না পারে এবং ন্যায়সঙ্গত ভোটকেন্দ্র স্থাপনে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রধান করে পুলিশ, শিক্ষা ও কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কমিটি করার কথা জানান এ নির্বাচন কমিশনার।
তিনি বলেন, “এতে একক কোনো সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে না। এছাড়া এতগুলো কর্মকর্তার ওপর চাপ প্রয়োগ করাও সম্ভব হবে না। আবার তারা তালিকা করার পর অভিযোগ আসলে তা শুনানির পর চূড়ান্ত হবে।”
ডেটাবেজের বিষয়ে তিনি বলেন, “এ ভোটকেন্দ্রের একটা ডেটাবেজ করা হবে। শুধু জাতীয় নির্বাচন নয়, স্থানীয় নির্বাচনেও এগুলো ব্যবহার করা হবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সময়ও আবার চূড়ান্ত করা হবে। কারণ অনেক কেন্দ্র পরিবর্তন করতে হবে। নদী ভাঙন বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে কিংবা অন্য কারণে কেন্দ্র করার অনুপযোগী হতে পারে।”
তিনি জানান, ভোটকেন্দ্র নীতিমালা শর্তানুযায়ী বিদ্যামানটা বহাল রাখতে হবে। তবে নতুন ভবন হলে বা পাশে নতুন একটি কলেজ হলে কিংবা প্রাকৃতিক কারণে অনুপযোগী হলে নতুন করে কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। কাজেই ডেটাবেজ থেকে কোনটা ব্যবহার করব, কোনটা করা হবে না, তা নির্বাচন এলে ঠিক করা হবে।