সম্পূর্ণ সুস্থ হলেই কেবল তাদের ছাড়া হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
Published : 04 Mar 2024, 05:53 PM
রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি ৬ জনের অবস্থা ‘ভালোর দিকে’ বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সোমবার রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে আহত চারজন রোগী ভর্তি আছেন।
তারা হলেন- রাকিব (২৫), মেহেদী হাসান (২২), সুমাইয়া আকতার (৩১) ও ফারদিন (১৮)।
ইনস্টিটিউটের আবাসিক মেডিকেল সার্জন তরিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে বৃহস্পতিবার রাতে আমাদের এখানে ১৪ জন রোগী এসেছিলেন। এখানে চারজন রোগী এখন পর্যন্ত ভর্তি আছে। তাদের সবারই অল্প অল্প শ্বাসকষ্ট, কাশি ও বুকে ব্যাথা আছে। আমরা পুরোপুরি কনফার্ম না হওয়ার পর্যন্ত কাউকে ছাড়ছি না। তারা সম্পূর্ণ সুস্থ হলেই আমরা ছাড়ব।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “একেবারে সুস্থ হয়ে বাড়ি না যাওয়া পর্যন্ত কাউকেই আমরা শঙ্কমুক্ত বলতে পারছি না। এটা আসলে বাহ্যিক বার্ন নয়, এটা রক্তে কার্বন মনোক্সাইড পয়জনিংয়ের জন্য। একটা নির্দিষ্ট সময় পার না হওয়া পর্যন্ত আবার ফেরত আসতে পারে। তাদের অবস্থা আগে থেকে ভালো হচ্ছে। আমরা আশাবাদী, তারা সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবে।”
আর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জুবায়ের আহামেদ (২৫) ও ইকবাল হোসেন (২৩) নামের দুজন চিকিৎসাধীন আছেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক আলাউদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আমাদের এখানে দুজন রোগী ভর্তি আছে। তারা সুস্থতার দিকে, অবজারভেশনে আছে।”
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে গ্রিন কোজি কটেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাণিজ্যিক ভবন হিসেবে অনুমোদন নিলেও সেখানে রেস্তোরাঁ করার অনুমতি ছিল না।
কিন্তু আট তলা ওই ভবনে ব্যবসা করছিল ১৪টি রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকান। ভবনে ছিল না কোনো অগ্নি নির্গমন পথ। একমাত্র সিঁড়িতে রাখা ছিল গ্যাস সিলিন্ডারসহ রেস্তোরাঁর মালামাল। কাচে ঘেরা ভবনের উপরের ফ্লোরগুলো থেকে নামতে না পেরে ধোঁয়ার বিষক্রিয়ায় এ বিপুল সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়।
নিহতদের মধ্যে ৪৪ জনের মৃতদেহ ইতোমধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর বাইরে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামের এক নারী সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে, পরিচয় জটিলতায় তার লাশ হস্তান্তর করা হয়নি। বাকি একজনের পরিচয় এখনও অজানা।
ওই ঘটনার পর ধানমন্ডি, খিলগাঁও, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় একই রকম অনিরাপদ পরিবেশে ভবনজুড়ে রেস্তোরাঁ গড়ে তোলার বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় আসে। এই প্রেক্ষাপটে সমালোচনার মুখে সরকারি সংস্থাগুলো এখন অভিযানে নেমেছে।