আসামিরা গরহাজির, পেছাল নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যামামলার অভিযোগ গঠন

এই মামলার প্রধান আসামি জিয়ার নির্দেশনায় আরেক আসামি সাব্বিরুল হক জঙ্গি ছিনতাইয়ের অভিযান পরিচালনা করেন বলে পুলিশের ভাষ্য।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Nov 2022, 04:14 PM
Updated : 22 Nov 2022, 04:14 PM

আসামিদের হাজির না করার কারণে পেছাল অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ গঠনের শুনানি।

মঙ্গলবার ঢাকারসন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে এই মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল।

দুই দিন আগে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দুই জঙ্গিকে তাদের সহযোগীরা ছিনিয়ে নেওয়ার পর এদিন কারাগার থেকে এই মামলার কয়েক আসামিকে আনা হয়নি।

আবার জঙ্গি ছিনতাইয়ের মামলায় কয়েকজন রিমান্ডে থাকায় তাদেরও আনা হয়নি আদালতে।

তাই ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান আগামী ১৬ জানুয়ারি শুনানির নতুন তারিখ ঠিক করে দেন বলে সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ ভূঁইয়া জানিয়েছেন।

এই ট্রাইব্যুনালেই গত রোববার মোহাম্মদপুর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলায় হাজির করা হয়েছিল জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের কয়েক সদস্যকে।

এজলাস থেকে তাদের হাজতখানায় নেওয়ার পথে জনাকীর্ণ আদালত চত্বর থেকে জঙ্গিরা পুলিশকে পেপার স্প্রে ছুড়ে দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

যাদের ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে, সেই মইনুল হাসান শামীম এবং আবু সিদ্দিক সোহেল প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যামামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে ছিলেন।

ওই মামলায় আনসার আল ইসলামের শীর্ষনেতা বরখাস্ত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া প্রধান আসামি। পলাতক জিয়াও মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত।

জঙ্গি ছিনতাইয়ের নির্দেশনা জিয়ারই ছিল বলে দাবি পুলিশের; তাদের ভাষ্য, এই অভিযান পরিচালনা করেন সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক।

পলাতক কনিক অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নাজিমুদ্দিন হত্যামামলায়ও আসামি। এই মামলার আরও তিন আসামি মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, শেখ আব্দুল্লাহ জুবায়ের ও আরাফাত রহমান জঙ্গি ছিনতাইয়ের মামলায় রিমান্ডে রয়েছেন এখন।

নাজিমুদ্দীন হত্যামামলায় জিয়া ও কনিক ছাড়া পলাতক রয়েছেন আকরাম হোসেন, মো. ওয়ালিউল্লাহ ওরফে ওলি ওরফে তাহেব ওরফে তাহসিন ও মাওলানা জুনেদ আহাম্মেদ ওরফে সাব্বির ওরফে তাহের।

মামলার অন্য দুই আসামি রশিদুন নবী ভূইয়া ওরফে টিপু এবং মো. শেখ আব্দুল্লাহ কারাগারে আছেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ছাত্র নাজিমুদ্দিন অনলাইনে লেখালেখি করতেন। তিনি যুদ্ধাপরাধের বিচার দাবির আন্দোলনেও ছিলেন সক্রিয়।

২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শেষে পুরান ঢাকার গেণ্ডারিয়ায় মেসে ফেরার পথে নাজিমুদ্দিনকে কুপিয়ে ও গুলি চালিয়ে হত্যা করে জঙ্গিরা।

এ ঘটনায় পরদিন সূত্রাপুর থানার এসআই মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। চার বছর পর ২০২০ সালের ২০ অগাস্ট নয় জঙ্গিকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।