Published : 28 Jul 2022, 12:43 AM
দেশে বর্তমানে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণদের সংখ্যা ৩ কোটি ১৫ লাখ ৬১ হাজার ৮১১; যা মোট জনসংখ্যার ১৯ দশমিক ১১ শতাংশ।
বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনার এই প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
এক দশক আগে ২০১১ সালে তরুণদের সংখ্যা ছিল মোট জনসংখ্যার ১৮ দশমিক ১৬ শতাংশ।
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন।
এর মধ্যে ০ থেকে ১৪ বছর বয়সীর সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ২৮ দশমিক ৬১ শতাংশ।
১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, মোট জনসংখ্যার ৬৫ দশমিক ৫১ শতাশ।
আর ৬৫ বছরের বেশি বয়সীর সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
জনশুমারি ও গৃহগণনার এই প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, দেশে এখনো তরুণ জনগোষ্ঠী বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এই তরুণরাই আমাদের ‘জনমিতিক সুবিধার শক্তির উৎস’।
“বাংলাদেশ এখন জনমিতিক সুবিধার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এখন আমাদের তরুণ এবং যুব সমাজই সবচেয়ে বড় অংশ। পৃথিবীর অনেকে দেশের জনসংখ্যার বড় অংশ যেখানে বয়স্ক মানুষ এবং তাদের তরুণ সমাজের জনসংখ্যা কমে যাচ্ছে।
“কিন্তু আমাদের জনশুমারির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, আমাদের দেশে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী তরুণ জনসংখ্যার হার সর্বাধিক।
তিনি বলেন, “২০১১ সালে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী জনসংখ্যা যেখানে ১৮ শতাংশ ছিল সেখানে ২০২২ সালের শুমারিতে দেখা যাচ্ছে ওই বয়সের জনসংখ্যার হার ১৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ আমাদের তরুণ জনসংখ্যা এখনো বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি আমাদের জন্য অনেক বড় আশার কথা। এটি আমাদের শক্তির উৎস”।
সভাপতির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, “এই শুমারিতে জনগণের যে তথ্য আমরা সংগ্রহ করেছি এটা সরকারের কাছে আমানত থাকবে। কেউ এটা ব্যবহার করতে পারবে না। ২০৫০ সালের পর আমাদের জনসংখ্যা কমতে শুরু করবে। ২১০০ সালে আমাদের জনসংখ্যা নেমে আসবে ৮ কোটিতে।”
তিনি বলেন, তখন নির্ভরশীল জনসংখ্যা বেশি থাকবে আর কর্মীর সংখ্যা কম থাকবে। তখন বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৭তম অবস্থানে চলে যাবে। বর্তমানে জনসংখ্যার দিক দিয়ে পৃথিবীর অষ্টম বৃহত্তম দেশ।
জন প্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক শামসুল আলমও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।