ডিআইজি মিজানের অবৈধ সম্পদের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার জেরা শেষ

মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ১৪ মে দিন রেখেছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 April 2023, 04:11 PM
Updated : 12 April 2023, 04:11 PM

পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানসহ চার জনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হয়েছে।

বুধবার ঢাকার ষষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালতে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদকে জেরা শেষ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

এরপর আদালত মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ১৪ মে দিন রাখেন। ওই দিন রাষ্ট্রপক্ষ আরো সাক্ষী হাজির করলে সাক্ষ্যগ্রহণ হবে। তা না হলে আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানি হবে।

দুদকের আইনজীবী আহমেদ আলী সালাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এ মামলায় চার্জশিটভুক্ত ৩৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার ওরফে রত্না রহমান, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান।

মাহমুদুল হাসান রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় এসআই ছিলেন। সোহেলিয়া আনার রত্না ও ছোটভাই মাহবুবুর রহমানকে পলাতক দেখিয়ে এ মামলার বিচার চলছে।

তিন কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তিন কোটি সাত লাখ পাঁচ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৪ জুন মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক।

২০২০ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আসিফুজ্জামান এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি মিজানুর রহমান তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানের নামে ২৪ লাখ ২১ হাজার ২২৫ টাকায় শুলশান-১ এর পুলিশ প্লাজা কনকর্ডে ২১১ বর্গফুট আয়তনের একটি দোকান বরাদ্দ নেয়।

মিজানুর রহমান নিজে নমিনি হয়ে তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানের নামে ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর একটি ব্যাংকে এফডিআর অ্যাকাউন্ট করে ৩০ লাখ টাকা জমা করেন।

তবে দুদক অনুসন্ধান শুরু করলে সে টাকা ভাঙ্গিয়ে সুদে আসলে ৩৮ লাখ ৮৮ হাজার ৫৭ টাকা তুলে ফেলেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, মিজানুর রহমান তার স্ত্রী রত্না কাকরাইলে ১৭৭৬ বর্গফুটের একটি বাণিজ্যিক ফ্ল্যাট ক্রয়ে ২০১১ সালে চুক্তিনামা করে বিভিন্ন সময় ১ কোটি ৭৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩৫০ টাকা নির্মাণ কোম্পানিকে পরিশোধ করেন। পরে ২০১৬ সালে ফ্ল্যাটটি ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানের নামে দলিল রেজিস্ট্রি করেন।

এ মামলায় মিজান ২০১৯ সালের ১ জুলাই হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করলে তা নাকচ হয় এবং হাই কোর্ট বেঞ্চ তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়।

তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান ৪ জুলাই একই আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকেও কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।

এক নারীকে জোর করে বিয়ের পর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ওঠায় ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় মিজানুর রহমানকে।

তার বৈধ সম্পদের অনুসন্ধান চলার মধ্যেই দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই আরেকটি মামলা হয়। সেই মামলায় মিজানের ৩ বছরের এবং বাছিরের ৮ বছরের সাজার রায় দিয়েছে আদালত।

 আরও পড়ুন

Also Read: ঘুষ লেনদেন: ডিআইজি মিজানের ৩ বছর সাজা, দুদকের বাছিরের ৮ বছর

Also Read: ৪০ লাখ টাকা ঘুষ: পুলিশের মিজান, দুদকের বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা

Also Read: ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের মামলা