“আমি এই সিগন্যালটি স্পষ্টভাবে দিয়ে গেলাম যে,… সেনাবাহিনী চাইছে, বেসামরিক প্রশাসনের সাথে আন্তরিকভাবে কাজ করে সরকারের দেওয়া যে কোনো দায়িত্ব সুন্দরভাবে পালন করা হোক।”
Published : 26 Jan 2023, 10:46 AM
বেসামরিক প্রশাসনের সাথে বর্তমানে সেনাবাহিনীর সম্পর্ক ‘অনেক বন্ধুত্বপূর্ণ’ এবং কাজ করতে গিয়ে সেনাবাহিনী এখন আগের চেয়ে ‘অনেক স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে’ বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনে ডিসিদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন সেনাপ্রধান।
গতবছরের ডিসি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার স্মৃতি স্মরণ করে সেনাপ্রধান বলেন, “আমি গতবারও ব্যক্তিগতভাবে এখানে এসেছি, এবারও এখানে এসেছি। আমি কিন্তু কোনো প্রতিনিধি পাঠাই না। আমার সশরীরে এই ডিসি সম্মেলনে পরপর দুই বছর উপস্থিত হওয়া এটাই প্রমাণ করে যে এটাকে কতটা গুরুত্ব আমি দিয়েছি।
“আমি তাদের এই সিগন্যালটি স্পষ্টভাবে দিয়ে গেলাম যে, আমি ব্যক্তিগতভাবে এসেছি, সেনাবাহিনী চাইছে যে বেসামরিক প্রশাসনের সাথে আন্তরিকভাবে কাজ করে সরকারের দেওয়া যে কোনো দায়িত্ব সুন্দরভাবে পালন করা হোক।”
সেনাপ্রধান বলেন, “আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, প্রশাসনের মাঠপর্যায়ে যারা সবচেয়ে বেশি বড় ভূমিকা রাখে, তারা হলেন ডিসিরা, ডিভিশনাল কমিশনাররা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সরকারের অনেক কাজ করে, যেগুলো বেসামরিক প্রশাসনের আওতায়। ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার বিধানের আওতায় আমরা যে সমস্ত কর্মকাণ্ড করি, সেগুলো কিন্তু বেসামরিক প্রশাসনের পূর্ণ সহযোগিতা ছাড়া করা অসম্ভব।”
সম্মেলনে জেলা প্রশাসকরা সেনাবাহিনীর কাজের প্রশংসা করেছেন বলে জানান জেনারেল শফিউদ্দিন। তিনি বলেন, “আপনারা জানেন যে ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারে আমরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, নেশন বিল্ডিং, অনেক নিরাপত্তার দায়িত্বও পালন করে থাকি। এখানে কথা প্রসঙ্গে গত বন্যায় সেনাবাহিনীর কাজের প্রশংসা সবাই করেছে, অন্যান্য কাজেও আমাদের প্রশংসা সবাই করেছে।
“আমরাও বলেছি, বর্তমান সেনাবাহিনীর নিচের পর্যায়ের সবার মধ্যে একটা অনুভূতি এসেছে যে বেসামরিক প্রশাসন আমাদের সাথে আগের চেয়ে ফ্রেন্ডলি এবং তাদের সাথে কাজ করে আমরা আগের চেয়ে অনেক স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি।”
তবে দুই পক্ষের কর্মপদ্ধতির কারণে মাঝে মাঝে কিছু ‘ভুল বোঝাবোঝি’ তৈরি হয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, “উদ্দেশ্য কিন্তু সবার একই। নিজেদের কর্মপদ্ধতি ঠিক রেখে এগোলে আমরা অনেক দূর যেতে পারব৷ সরকার আমাদের কাছে যা চায় তা আমরা করতে পারব।
“আমাদের কয়েকজন জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনার বলেছেন, সেনাবাহিনী কতো ভাল কাজ করছে…। আমি তাদের বলেছি, তাদের এই প্রশংসা আমি সেনাবাহিনীর সদস্যের কাছে পৌঁছে দেব, এটা তাদের মনোবল বাড়াবে এবং ভবিষ্যতে আরও ভালো কাজ করতে অনুপ্রেরণা জোগাবে।”