কলাবাগানে নিহত গৃহকর্মীর পরিচয় মিলেছে, গৃহকর্ত্রীর সন্ধান মেলেনি

পুলিশের ধারণা, বালিশ চাপা দিয়ে গৃহকর্মীকে হত্যার পর পালিয়েছেন গৃহকর্ত্রী।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ।

ঢাকার কলাবাগানের একটি ফ্ল্যাটে নিহত গৃহকর্মীর পরিচয় মিলেছে। তবে তার মৃত্যুর জন্য যাকে সন্দেহ করা হচ্ছে, সেই গৃহকর্ত্রীর হদিস এখনও পায়নি পুলিশ।

শনিবার দুপুরে সেন্ট্রাল রোডের ওই ফ্ল্যাট থেকে কলাবাগান থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করলেও তার পরিচয় পায়নি। তখন ওই বাসায় কেউ ছিল না। দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকেছিল পুলিশ।

সোশাল মিডিয়ার সূত্রে সোমবার নিহত গৃহকর্মীর পরিচয় মেলে বলে কলাবাগান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু জাফর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।

নিহতের নাম হেনা বেগম। তার বাড়ি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায়। তার বাবার নাম হক মিয়া, মায়ের নাম হাসিনা বেগম। তারা দুজনই মারা গেছেন।

হেনার লাশ আগেই ময়নাতদন্ত করা হয়েছিল জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা জাফর বলেন, “হেনার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তার চাচাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়। পরে তারা এসে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে আজ দুপুরের পর মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান।”

রাজধানীতে গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধার, লাপাত্তা গৃহকর্ত্রী

যে ফ্ল্যাট থেকে হেনার লাশ উদ্ধার করা হয়, তার মালিক সাথী নামে এক নারী বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।

তবে তার কোনো হদিস সোমবার বিকাল পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ কর্মকর্তা জাফর জানান।

পুলিশ বলছে, স্বামীর সঙ্গে বছর তিনেক আগে বিচ্ছেদ হওয়ার পর সাথী তার ৩-৪ বছরের মেয়েকে নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন। শুক্রবার সকাল ৯টায় সন্তানকে নিয়ে তার বেরিয়ে যাওয়ার দৃশ্য সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।

হেনার লাশ উদ্ধারের পর ডিএমপির নিউ মার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার রেফাতুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, এক তথ্যদাতার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই ফ্ল্যাটে গিয়েছিল পুলিশ।

ছোট দুই বেড রুমের ওই ফ্ল্যাটের একটি কক্ষের বিছানায় হেনার লাশ পায় পুলিশ। পুলিশের ধারণা, বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হেনাকে হত্যার করা হয়।