ব্যবসায়ীরা বলছেন, সিটি কর্পোরেশন থেকে বরাদ্দ পাওয়া দোকানের যে সংখ্যা, তার প্রায় দ্বিগুণ অবৈধ দোকান রয়েছে এই মার্কেটে।
Published : 28 Jan 2024, 04:23 PM
মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট কাঁচা বাজারে মোট দোকান এবং আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
মার্কেটের মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি আলাবক্স বলছেন, তাদের মার্কেটে প্রায় সাতশ দোকান ছিল, যার অধিকাংশই আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের হিসাবে মোট দোকান এবং ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের সংখ্যা ওই অংকের প্রায় অর্ধেক।
দোকান মালিক সমিতির অফিস সহকারী মুশফিকুর রহমান লিটন বলেছেন, এ মার্কেটে দোকান রয়েছে প্রায় পাঁচশ। আর মালিক সমিতির বর্তমান সভাপতি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সলিমুল্লাহ সলুর হিসেবে দোকানের মোট সংখ্যা তিনশর মত।
অন্য ব্যবসায়ীরা যে পাঁচ থেকে সাতশ দোকানের কথা বলেছেন, সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সলু বলেন, "যারা বলেন তারা বেশি বলেন, তবে কিছু যে বেশি আছে এটা স্বাভাবিক।"
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তাদের বরাদ্দ দেওয়া ৩১৭টি দোকান রয়েছে। এর বাইরে ফুটপাতসহ আরও কিছু দোকান রয়েছে, সেগুলো অবৈধ। আগুনে ২১৭টি নিবন্ধিত দোকান পুড়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, সিটি কর্পোরেশন থেকে বরাদ্দ পাওয়া দোকানের যে সংখ্যা, তার প্রায় দ্বিগুণ অবৈধ দোকান রয়েছে এই মার্কেটে।
এসব অবৈধ দোকানের জন্য আগুন নেভাতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়ার কথা জানিসয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশনস) লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম।
তিনি বলন, “মার্কেটের বাইরেও বিভিন্নভাবে ছোটখাটো দোকান দিয়ে রাস্তাগুলো দখল করা ছিল। দোকানের সামনেও দোকান থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে।”
সিটি করপোরেশন থেকে বরাদ্দ না পেলেও সমিতির লোকজনকে ‘ম্যানেজ’ করে তৈরি পোশাকের দোকান দিয়েছিলেন এক ব্যাক্তি। নাম প্রকাশ না করা শর্তে তিনি বলেন, দোকান পেতে তাকে ৫ লাখ টাকা খরচ করতে হয়েছে। দোকানে মাল ছিল লাখ তিনেক টাকার। এখন সব শেষ।
"আমার নাম ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় আসবে না জানি। আমার সব শেষ।"
এই ব্যবসায়ীর ভাষ্য, তার মত আরও অনেকে বিভিন্নভাবে ‘ম্যানেজ করে’ এই মার্কেটে শতশত দোকান চালাচ্ছিলেন।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)