সোমবার মোংলা ও ঈশ্বরদীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি মাসে ৪২ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলার পূর্বাভাস।
Published : 01 Apr 2024, 09:27 PM
চৈত্রের দ্বিতীয়ার্ধে এসে বসন্ত বাতাস হয়ে উঠছে গরম। তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে, গায়ে লাগছে অস্বস্তি।
শীতকালটা এবার একটু দীর্ঘায়িত হওয়ায় ফাগুন হাওয়ায় ফুরফুরে ছিল মন। চৈত্রের দুটি সপ্তাহও মোটামুটি আরাম আয়েশে কেটেছে দিন।
তৃতীয় সপ্তাহের শুরুতে রাজধানীতে এখনো ‘কাঠফাটা’ গরম পড়েনি। তবে দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তাপপ্রবাহের দেখা পাচ্ছে মানুষ। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, গরম আরো বাড়তে যাচ্ছে সামনে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মোংলা ও ঈশ্বরদীতে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেছেন, “নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।”
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় তাপপ্রবাহের এলাকা আরও বাড়তে পারে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি থাকায় গরমে অস্বস্তিও বাড়তে পারে এ সময়।
থার্মোমিটারের পারদ ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে আবহাওয়াবিদরা তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলে। উষ্ণতা বেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।
এপ্রিল মাসে দুচারটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে থাকবে কালবৈশাখির দাপট থাকবে। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ অথবা ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা রয়েছে। ফলে এই মাসটিতে প্রকৃতি ‘পরীক্ষা নেবে মানুষের’।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. ছাদেকুল আলম জানান, চলতি মাসে দেশে ৫ থেকে ৭ দিন হালকা থেকে মাঝারি ধরনের শিলাসহ বজ্র বৃষ্টি হতে পারে। এক থেকে তিনটি কালবৈশাখীর আশঙ্কাও আছে।
তিনি জানান, এ মাসে ১-২টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে; যার মধ্যে একটি নিম্নচাপ/ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস বলছে, দুই থেকে চারটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ এবং এক থেকে দুটি তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি হয়ে যেতে পারে।
উজানে ভারি বর্ষণের প্রভাবে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদ-নদীতে পানি বাড়তে পারে; যাতে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।