জোরে বাঁশি বাজানো, পটকা-আতশবাজি ফোটানো কিংবা ফানুস উড়ানো থেকে বিরত থাকারও অনুরোধ জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
Published : 05 Dec 2023, 09:17 PM
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের কারণে নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখতে হচ্ছে বলে এবার ইংরেজি নববর্ষের উদযাপন এবার চার দেয়ালের ভেতরে করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বড়দিন ও থার্টি ফাস্ট নাইট ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বড়দিন ও থার্টি-ফাস্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে তিনি বলেন, “৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশে উন্মুক্তস্থানে কোনো অনুষ্ঠান করার সুযোগ নেই। আমরা সমাবেশের কোনো অনুমতি দিব না।”
৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ায় এই বিধিনিষেধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যারা অনুষ্ঠান করবেন তারা ঘরের ভেতরে বা কোনো হোটেলে করতে পারবেন।”
জোরে বাঁশি বাজানো, পটকা-আতশবাজি ফোটানো কিংবা ফানুস উড়ানো থেকে বিরত থাকারও অনুরোধ জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
“এসব প্রতিরোধে পর্যাপ্ত পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হবে এবং সেই সাথে কেউ যেন মটর সাইকেল বা গাড়ি নিয়ে রেইস করতে পারে।”
বড়দিনের নিরাপত্তার বিষয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সারাদেশে চার্চগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা, আইনশৃঙ্খলা সমুন্নত রাখার বিষয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। চার্চ কর্তৃপক্ষকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতার জন্য স্বেচ্ছাসেবক রাখতে বলা হয়েছে।
বৈঠকে আইজি, র্যাব প্রধান, চার্চ সমূহের নেতৃবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন জানিয়ে মন্ত্রী জানান, বড়দিন সামনে রেখে ২০ ডিসেম্বর থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে, যা ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকবে।
“এই সময় চার্চ সংশ্লিষ্ট এবং খ্রিস্টান অধ্যাষুতি এলাকায় গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা থাকবেন। তারা নজরদারি করবেন। যাতে কোনো অঘটন না ঘটে এবং যারা অঘটন ঘটাতে চায় তাদের চিহ্নি করতে বৈঠকে চার্চসমূহের নেতৃবৃন্দকে সংশ্লষ্ট এলাকায় সিসি ক্যামেরা, আর্চওয়ে বসানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”
এসব এলাকায় কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হলে তারা যেন ৯৯৯ ফোন করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে বৈঠকে।
বড়দিন এবং থার্টি ফার্স্ট নাইট ঘিরে কূটনৈতিক এলাকায় বিশেষ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
“৩১ ডিসেম্বর রাতে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধে নিরাপত্তা বাহিনী তৎপর থাকবে এবং সকল বার বন্ধ থাকবে।”
ওই রাতে যেকোনো ধরণের অগ্নিকাণ্ড বা বড় কোনো দুর্ঘটনার বিষয়টি মাথায় রেখে উদ্ধারকারী দলও প্রস্তুত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।
৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গ প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন যথাসময়ে হবে। নির্বচানের উৎসব শুরু হয়েছে। নিবন্ধিত দলের মধ্যে ২৯টি দল এরমধ্যে অংশগ্রহণ করেছে।
অপর এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “যে দলটি নাশকতার সাথে জড়িত এটা তাদের ‘প্রাকটিস’। তারা নির্বাচনে পরাজয় জেনেই ভিন্ন পন্থায় নির্বাচনকে প্রতিহত করার জন্য অগণতান্ত্রিক উপায় কাজ করছে।”
এই সন্ত্রাসের কারণে নির্বাচন বন্ধ থাকবে না বলেন জানান মন্ত্রী।