আরেক আসামি ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনও মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেছিলেন, যেটির শুনানি এখনও বাকি।
Published : 10 May 2023, 06:27 PM
নাইকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ব্যবসায়ী সেলিম ভূঁইয়া যে আবেদন করেছিলেন, তা ফেরত দিয়েছে হাই কোর্ট।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাই কোর্ট বেঞ্চ বুধবার আবেদনটি ফিরিয়ে দেয় বলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী জানান।
প্রায় দেড় যুগ আগের এ মামলায় গত ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠন করে খালেদা জিয়া ও সেলিম ভুঁইয়াসহ আট আসামির বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছিল জজ আদালত।
সেই আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে সেলিমের আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমান খান হাই কোর্টে এ আবেদনটি করেন।
এ মামলার আরেক আসামি ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনও মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেছিলেন। ওই আবেদনের শুনানি এখনও হয়নি। কাশিমপুর কারাগার থেকে কেরানীগঞ্জ কারাগারে স্থানান্তর চেয়ে আলাদা একটি আবেদন করেছেন তারেক রহমানের বন্ধু মামুন।
কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে ‘অস্বচ্ছ’ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম।
পরের বছর ২০০৮ সালের ৫ মে যে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়, তাতে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে।
চলতি বছরের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের ২ নম্বর ভবনে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান।
এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য আগামী ২৩ মে দিন ঠিক করে দিয়েছেন তিনি।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপি আমলের মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
এ মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ ও সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন এবং বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় তাদের নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।