নওফেল বলেন, “আমরা প্রাথমিকের মন্ত্রী, সচিবের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। আগামী ৩ দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সম্ভাবনা খুব বেশি।”
Published : 20 Apr 2024, 02:18 PM
দেশজুড়ে চলা তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অন্তত তিনদিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিতে পারে সরকার।
শনিবার বিকালের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসার কথা রয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন সরকারের দুই মন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে ছুটির সিদ্ধান্ত নেবেন তারা।
তিনি বলেন, “জনস্বাস্থ্যের বিষয় নিয়ে আমরা সতর্ক আছি। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। আমরা বন্ধ রাখতে চাচ্ছি। বিকালের মধ্যেই সিদ্ধান্ত জানাব।
“প্রাথমিকের বাচ্চারা আরও ছোট। তাদের জন্য বন্ধ রাখা আরও জরুরি। আমরা প্রাথমিকের মন্ত্রী, সচিবের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। আগামী তিনদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সম্ভাবনা খুব বেশি।”
আর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।
রুমানা আলী বলেন, “যেহেতু অনেক বেশি গরম, স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে- সেজন্য আমরা স্কুল বন্ধ রাখব। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত নিব, একটু পর আমরা আলোচনা করব।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “তিনদিন, পাঁচদিন বা সাতদিন স্কুল বন্ধ থাকতে পারে।”
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন। শনিবার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি বন্ধের নির্দেশও দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গরম অসহনীয় হয়ে ওঠায় গত বছরের জুনেও কয়েকদিনের জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ করেছিল সরকার।
এ বছর বৈশাখের শুরু থেকেই মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যেই বেসরকারি স্কুলগুলোতে ক্লাস চলছে। ঈদের ছুটি কাটিয়ে আগামীকাল রোববার খুলে যাবে সরকারি বিদ্যালয়গুলোও।
এর আগে গরম বিবেচনায় সাতদিনের জন্য স্কুল বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম নামের একটি সংগঠন।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এ বি এম আব্দুল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, চলমান পরিস্থিতি শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে, সেজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা উচিত।
"অনেক স্কুলে ভেন্টিলেশন সিস্টেম ভালো না, ফ্যান পর্যন্ত চলে না। আর স্কুলে যাওয়া-আসার পথেও তো অনেক বেশি গরমে পড়তে হবে। ফলে বাচ্চাদের জন্য স্কুলে যাওয়াটাই অনেক কঠিন হয়ে যাবে।"
এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, "এ পরিস্থিতি চললে স্কুল অবশ্যই বন্ধ রাখতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, শিশুদের স্বাস্থ্যটাই সবার আগে প্রাধান্য পাওয়া উচিত। এ সময় তারা যদি স্কুলে যায়, তাহলে তারা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারে।
"স্কুলের গ্রীষ্মকালিন ছুটিটা যদি এই গরমের মধ্যে দেয়া হয়, তাহলে সেটি বাচ্চাদের জন্য অনেক ভালো হবে।"