উদ্ধার হওয়া মালামালের মধ্যে ২১ হাজার ৫০০ মিটার রেইনকোটের কাপড়সহ বিভিন্ন ধরনের কাপড় রয়েছে। এসব পণ্যের দাম আনুমানিক ৮২ লাখ ৩৩ হাজার টাকা।
Published : 06 Jul 2023, 02:21 PM
ঢাকার কেরানীগঞ্জের কলাতিয়ায় একটি পোশাক কারখানায় ডাকাতির ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ।
তারা হলেন– মো. হামিদুল ইসলাম (৪০), আমিনুল ইসলাম ওরফে রাজ (৪৫), মো. জাহিদ মিয়া (৪০), মনিরুল ইসলাম ওরফে রতন (৩২), মো. আজিজুল হক (৪৮), মো. ইসরাফিল (৩০), মো. সজল মিয়া (৩০) ও রাশিদা বেগম (৩৩)।
বুধবার রাতে সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরের বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে ঢাকার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান জানান।
বৃহস্পতিবার নিজের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ২ জুলাই কেরানীগঞ্জের কলাতিয়ায় অ্যাপিজ গ্লোবাল লিমিটেড কারখানায় ডাকাতি হয়। ১৪ থেকে ১৫ জনের ডাকাত দল তিনজন নৈশ প্রহরীর হাত-পা বেঁধে কারখানার ভেতরে থাকা কম্বল, রেইনকোট, কাপড়সহ বিভিন্ন মালামাল কভার্ডভ্যানে করে নিয়ে যায়।
ওই ঘটনায় মামলা হওয়ার পর মাঠে নামে পুলিশ। তদন্তের ভিত্তিতে আটজনকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি লুট হওয়া সব মালামাল উদ্ধার এবং দুটি কভার্ডভ্যান জব্দ করার কথা জানান পুলিশ সুপার।
তিনি বলেন, “লুণ্ঠিত মালামাল বিক্রির জন্য রাশিদা বেগমের স্বামী মোশাররফের গুদামে রাখা হয়েছিল। মোশাররফ পলাতক থাকলেও তার রাশিদাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার দেওয়া তথ্যেই গুদাম থেকে লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া মালামালের মধ্যে ২১ হাজার ৫০০ মিটার রেইনকোটের কাপড়সহ বিভিন্ন ধরনের কাপড় রয়েছে। এসব পণ্যের দাম আনুমানিক ৮২ লাখ ৩৩ হাজার টাকা।
গ্রেপ্তাররা ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা ‘স্বীকার করেছে’ জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, “তারা সকলে আন্তঃজেলা ডাকাতচক্রের সদস্য। তারা ছদ্মবেশে ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন কারখানার মালামাল ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেকি করে। যেসব ফ্যাক্টরির অবস্থান নির্জন এলাকায় এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল, সেসব কারখানাকে তারা টার্গেট করে ডাকাতি করে।"
অ্যাপিজ গ্লোবাল লিমিটেডের মালিক আবুল কালাম আজাদও উপস্থিত ছিলেন সংবাদ সম্মেলনে। পরে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার পোশাকও তার কারখানায় তৈরি হত।
“দুই বছর আগে কারখানাটি খোলা হয়। তবে আমার দুর্বলতা রয়েছে। সিসিক্যামেরা লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু লাগানো হয়নি।”