সর্বশেষ নাজমুলের মরদেহ ছিল মর্গে, সেটাও বুঝিয়ে দেওয়া হলো।
Published : 12 Mar 2024, 04:05 PM
রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডে ঘটনায় মারা যাওয়া ৪৬ জনের শেষ ব্যক্তির মরদেহ তার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলামের (২৫) মরদেহ ঢাকা মেডিকেলের মর্গ থেকে বুঝে নেন তার বাবা নজরুল ইসলাম।
সিআইডি ঢাকা মেট্রো দক্ষিণেরর পরিদর্শক মাসুদ পারভেজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আগুনে পুরোপুরি অংগার হয়ে যাওয়ায় নাজমুলের মরদেহ শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি মরদেহটি তার সন্তানের বলে দাবি করেন।
“আমরা ডিএনএ করার সিদ্ধান্ত নিই এবং নমুনা সংগ্রহ করি। এই নমুনার ফলাফল মঙ্গলবার পাওয়ার পর নিশ্চিত হই দাবিদার নজরুল ইসলামের ছেলেই নাজমুল ইসলাম। ফলে তার বাবার কাছে নাজমুলের মরদেহ হস্তান্তর করি।”
মুন্সীগঞ্জের নলবুনিয়া কান্দি গ্রামে নজরুল ইসলামের বাড়ী। ঢাকায় রামপুরার বনশ্রীতে থাকেন তারা।
সন্তানের মরদেহ বুঝে পাওয়ার পর নজরুল ইসলাম বলেন, “এতদিন পর অবশেষে আমার ছেলের লাশ পেলাম।”
নাজমুলের মরদেহ দাফনের জন্য গ্রামের বাড়ির মুন্সীগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান নজরুল ইসলাম।
মরদেহ নেওয়ার সময় নাজমুলের মামা আনোয়ার হোসেনও মর্গে ছিলেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর শিক্ষার্থী নাজমুল ঘটনার দিন বন্ধুদের সঙ্গে ওই ভবনের একটি রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন।
“আমরা নাজমুলের মরদেহ ১২ দিন পর বুঝে পেলাম। তার জন্য দোয়া করবেন।”
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে আগুনের ঘটনা ঘটে যেখানে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়।
এর মধ্যে ৪৪ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হলেও পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় দুইজনের মরদেহ হস্তান্তর করা যাচ্ছিল না।
অবশেষে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে ‘অভিশ্রুতি শাস্ত্রী’ নামের এক নারী সাংবাদিকের পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পর তার মরদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয় সোমবার।
বাকি ছিল নাজমুলের মরদেহ হস্তান্তর।
সিআইডি কর্মকর্তা মাসুদ পারভেজ বলেন, “ওই দুর্ঘটনায় যে কয়জন মারা গেছেন প্রত্যেকের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
“সর্বশেষ নাজমুলের মরদেহ ছিল, সেটা বুঝিয়ে দেওয়া হলো।”
এই ঘটনায় রমনা থানায় একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছে।
মামলাটি প্রথমে ডিবি তদন্ত করলেও পরে সিআইডিকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।