বাংলা একাডেমির কার্যক্রম সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার তাগিদ কামাল চৌধুরীর

“সম্পাদনা, বইকে নান্দনিক করার প্রশিক্ষণ, সারাদেশে যেন একাডেমির কাজ দৃশ্যমান হয় তার উদ্যোগ নেয়ার ব্যাপারে আলোচনা করেছি।”

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 March 2024, 03:05 PM
Updated : 27 March 2024, 03:05 PM

বাংলা একাডেমির কার্যক্রম সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

এজন্য বাংলা একাডেমির বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেশের বিভিন্ন জেলায় আয়োজন করার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেছেনন, “এজন্য বিভিন্ন জায়গায় বাংলা একাডেমির শাখা করার প্রয়োজন নেই। একাডেমি থেকে যে সেমিনার বা অনুষ্ঠান হয়, সেগুলো একাডেমির মিলনায়তনের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জায়গায় করা যেতে পারে।

“স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য বাংলা একাডেমির অনেক দায়িত্ব রয়েছে। এর জন্য কার্যক্রমকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে হবে।”

বাংলা একাডেমি থেকে কয়েকটি ভালো মানের পত্রিকা প্রকাশ হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সেগুলো যেন সারা দেশের স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েদের কাছে নিয়ে যাওয়া যায়, তার পরিকল্পনা করতে হবে। নতুন প্রজন্মকে সংস্কৃতি ও সাহিত্যমনস্ক করে তুলতে হবে।”

বুধবার বিকেলে বাংলা একাডেমি পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদাসহ একাডেমির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলা একাডেমি বুদ্ধিবৃত্তিক মননের প্রতীক উল্লেখ করে কামাল আবদুল নাসের বলেন, সাহিত্যকে গণমুখী করার জন্য বাংলা একাডেমিকে তাগিদ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অনুবাদ ও গবেষণা বাড়ানোর জন্য নানামুখি পরিকল্পনা করার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।

“বাংলা সাহিত্যের অনুবাদ বহির্বিশ্বে পৌঁছে দেওয়া এবং বহির্বিশ্বের অনুবাদ বাংলায় করতে হবে। সম্পাদনা, বইকে নান্দনিক করার প্রশিক্ষণ, সারাদেশে যেন একাডেমির কাজ দৃশ্যমান হয় তার উদ্যোগ নেয়ার ব্যাপারে আলোচনা করেছি।”

সংস্কৃতি খাতে বাজেট বাড়ানোর জন্য যৌক্তিক পরিকল্পনা প্রণয়নে জোর দিতে হবে বলেও উল্লেখ করে তিনি।

আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন কেন নিয়মিত হচ্ছে না এমন প্রশ্নে কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, “এ ব্যাপারটি নিয়ে ভাবা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন নিয়মিতভাবে হওয়া দরকার, এব্যাপারে চিন্তাভাবনা আছে, আশা করি আগামীতে সম্মেলন হবে।”

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান বলেন, “আমাদের স্কুল-কলেজের যে বিভিন্ন ক্লাব ছিল, সেই ক্লাবগুলোকে সক্রিয় রাখতে পরিকল্পনা করছি। এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে মিলে স্কুল-কলেজে যেন ক্লাব বা সাহিত্য সংঘগুলো সক্রিয় থাকে।”

বাংলা একাডেমির নির্বাহী পরিষদের নির্বাচন কেন হচ্ছে না জানতে চাইলে একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, “নির্বাচন করার জন্য যে বিধিমালা দরকার হয়, সেটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য খসড়া হয়েছে। আশা করি দ্রুতই নির্বাচন হবে।”