এ মামলায় আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য আগামী ২৮ অগাস্ট দিন রেখেছে আদালত।
Published : 01 Aug 2023, 06:39 PM
ফারমার্স ব্যাংকের ১৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ব্যাংকটির অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতীসহ চার আসামির বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেছে দুদক।
এ মামলায় আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য আগামী ২৮ অগাস্ট দিন রেখেছেন ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন।
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল মঙ্গলবার প্রসিকিউশনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির আর্জি জানান।
বাবুল চিশতীর স্ত্রী রুজী চিশতী, ছেলে রাশেদুল হক চিশতী এবং ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মাসুদুর রহমান খানও এ মামলা আসামি।
অভিযোগ প্রমাণিত হলে মানিলন্ডারিং আইনের ৪ ধারা অনুযায়ী আ মামলার আসামিদের ৪ থেকে ১২ বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড হতে পারে। আদালত মনে করলে আসামির সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশও দিতে পারবে।
এ আদালতের বেঞ্চ সহকারী বেলাল হোসেন জানান, আসামিদের মধ্যে বাবুল চিশতী ও রাশেদ চিশতী কারাগারে এবং রুজী চিশতী ও মাসুদুর রহমান জামিনে আছেন।
প্রায় ১৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল গুলশান থানায় এ মামলা করে দুদক।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ব্যাংকের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মাহবুবুল হক চিশতী গুলশান শাখায় সঞ্চয়ী হিসাব খুলে বিপুল পরিমাণ অর্থ নগদে ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা ও উত্তোলন করেন।
তিনি বিভিন্ন সময়ে তার স্ত্রী, ছেলে, মেয়েদের ও তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন শাখার মোট ২৫টি হিসাবে বেশিরভাগ অর্থ নগদ ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে মোট ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
দুদক বলছে, হিসাবগুলোতে গ্রাহকদের হিসাব থেকে পাঠানো অর্থ স্থানান্তর, হস্তান্তর ও লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে গ্রহণ করে এবং নিজেদের নামে ক্রয়কৃত ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য পরিশোধের মাধ্যমে সন্দেহজনক লেনদেন করে আসামিরা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর বাবুল চিশতীসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ মামলার বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।