জঙ্গি ছিনতাই: সোহেলের স্ত্রী শিখাসহ দুই নারী আরও ৩ দিনের রিমান্ডে

নারায়ণগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 April 2023, 02:22 PM
Updated : 14 April 2023, 02:22 PM

মাস পাঁচেক আগে ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার মামলায় পলাতক একজনের স্ত্রীসহ দুই নারীর আবার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

শুক্রবার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম মাহবুব আহম্মেদ।

রিমান্ডে যাওয়া দুই নারী হলেন- পলাতক জঙ্গি আবু সিদ্দিক সোহেলের স্ত্রী ফাতেমা তাসনীম ওরফে শিখা (৩১) ও তার আশ্রয়দাতা হুসনা আক্তার ওরফে হুসনা (২২), যিনিও এক জঙ্গির স্ত্রী বলে সিটিটিসির ভাষ্য।

Also Read: জঙ্গি ছিনতাই: গ্রেপ্তার দুই নারী ৫ দিনের রিমান্ডে

Also Read: জঙ্গি ছিনতাইয়ে ‘যোগাযোগকারী’ ছিলেন পলাতক সোহেলের স্ত্রী শিখা: সিটিটিসি

Also Read: যাদের ছকে জঙ্গি ছিনতাই, তারা ‘চিহ্নিত’

এর আগে গত ৮ এপ্রিল এ দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠায় আদালত।

এদিন পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে দুই আসামিকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাদেরকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিটিটিসি পরিদর্শক মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান জানান, ফাতেমা তাসনীমের পক্ষে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। তবে হুসনা আক্তারের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
২০২২ সালের ২০ নভেম্বর ঢাকার নিম্ন আদালত থেকে পুলিশের চোখে স্প্রে করে প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপনকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি আনসার আল ইসলাম সদস্য মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান এবং আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাবকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা।

গত ৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে জঙ্গি সোহেলের স্ত্রী ফাতেমা তাসনীম শিখা ও তার আশ্রয়দাতা হুসনাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

Also Read: জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনা তদন্তে পুলিশ সদর দপ্তরের কমিটি

Also Read: যেভাবে ছিনতাই ২ জঙ্গি

Also Read: আদালত প্রাঙ্গণে ‘পুলিশকে স্প্রে মেরে’ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি ছিনতাই

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরদিন সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান জানিয়েছিলেন, জঙ্গি ছিনতাইয়ের দিন শিখা তার বাবার সঙ্গে আদালতে এসেছিলেন। তিনি বন্দি জঙ্গি এবং বাইরে থাকা সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় করছিলেন। এক পর্যায়ে কৌশলে বাবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান তিনি।