ঢাকার শ্যামলীর রূপায়ণ শেলফোর্ড ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া গেছে।
নিহত রাশেদুজ্জামানের (২৫) বাড়ি দিনাজপুরের হাকিমপুরের নওদা পাড়া। বাবার নাম আব্দুর রশিদ।
তিনি ওই ভবনের ১৯ তলায় 'ডেটাসফট সিস্টেমস লিমিটেড' নামের একটি কোম্পানিতে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতেন বলে পুলিশ জেনেছে।
ধোঁয়ার দম বন্ধ হয়েই তিনি মারা গেছেন বলে সুরতহাল তৈরি করেছে পুলিশ। পরে শুক্রবার বিকালে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।
বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় তা নিয়ন্ত্রণে নেয়। তখন ভবন থেকে ১৮ জন পুরুষ ও ৫ জন নারীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
ভবনটিতে মোহাম্মদপুর থানা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয় ছাড়াও কয়েকটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন, কোথা থেকে আগুনের সূত্রপাত তা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। ফায়ার সার্ভিস ভবনের ১৯ তলায় বেশি আগুন পেয়েছে।