অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের এ মামলায় বাদীসহ দুদকের দুই কর্মকর্তা সাক্ষ্য দেন।
Published : 13 Oct 2022, 10:56 PM
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের মামলায় গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের (আগের এনআরবি গ্লোবাল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলায় বাদীসহ দুদকের দুই কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার ১০ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে মামলার বাদী কমিশনের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরীর সাক্ষ্য শেষ হয়।
এরপর মামলার রেকর্ডিং অফিসার দুদকের সাবেক সহকারী পরিচালক আমির হোসেনের সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন হয়।
পরে এ মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৯ অক্টোবর দিন ঠিক করে দেন বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
মূল আসামি পিকে হালদারকে পলাতক দেখিয়ে মামলার বিচার চলছে। এ মামলায় সাজা মৃত্যুদণ্ড নয় বলে পিকে হালদারের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী (স্টেট ডিফেন্স) দেওয়া হয়নি।
এদিন আসামি অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধাকে আদালতে হাজির করা হয়।
এ ছাড়া ভারতে গ্রেপ্তার পিকে হালদার ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন- পিকে হালদারের মা লিলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।
মামলার এজাহারে বলা হয়, পিকে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন।
মামলার তদন্ত শেষে দুদকের অভিযোগপত্রে তার বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে প্রায় ১ কোটি ১৭ লাখ কানাডিয়ান ডলারের সমপরিমাণ অর্থ কানাডায় পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন সংস্থার সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।
৮ সেপ্টেম্বর এ মামলায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়।